চুইঝাল কি এবং এটি কেন খাই

চুইঝাল কি? এটি আপনারা অনেকেই জানতে চান। এবং চুই ঝাল কিভাবে ব্যবহার করতে হয়  তার সঠিক নিয়ম বা সঠিক তথ্য আপনারা কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না।চিন্তার কারন নাই আজকে আমি আপনাদের  চুইঝালের সঠিক ব্যবহার জানাব।


চুই ঝাল খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হতে পারে তা নিয়ে কিছু পয়েন্ট নিচে আলোচনা করা হয়েছে। সঠিক তথ্য জানার জন্য মন দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ুন।

ভূমিকা

চুইঝাল কি? এটি একটি গাছের শিকড়। খেতে হয়। এবং এই চুই ঝালটি খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। যেমন চুই ঝাল মাংস মাছ বিভিন্ন সবজি সঙ্গে রান্না করে খেতে হয়। কারণ মাছ মাংস বা বিভিন্ন সবজির মধ্যে দিয়ে রান্না করলে রান্নাই আলাদা মাত্রা স্বাদ নিয়ে সে দেয় যে স্বাদ এমনি মাছ মাংস রান্না করলে পাওয়া যায় না।  ছুই ঝালের বিশেষত্ব হচ্ছে এটি রান্নাই বিভিন্ন মাত্রার স্বাদ নিয়ে এসে দেয়।

চুই ঝাল খাওয়ার নিয়ম?

চুইঝাল কি? এটি একটি গাছ। যেটি কেটে বাজারে বিক্রি করা হয়। এটির  বাংলাদেশের দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চল গুলোর জেলাগুলোতে পাওয়া যায় অনেক বেশি। কারণ সেখানকার জনপ্রিয় খাবার হলো চুই ঝাল। এই চুই ঝাল রান্না করে খেতে হয়। চুইঝাল  এর স্বাদ হল ঝাল। আর এই চুঁই ঝাল খাবারে সঙ্গে রান্না করে খেলে খাবারের একটি অন্যরকম মাত্রা নিয়ে এসে দেয়। 

কিন্তু শুধু যে চুই ঝালি রান্না করে খেতে হয় তা না এটি কোন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে খেলে খুব স্বাদ পাওয়া যায়। বিশেষ করে গরুর মাংসের সঙ্গে চুইঝাল রান্না করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ এশিয়ার  অঞ্চলের মানুষগুলো ঝাল প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকে। তাদের মাংসর সঙ্গে ছুই ছাল লাগে।

আবার অন্যান্য খাবারের সঙ্গেও চুরি ঝাল রান্না করলে বিষ খেতে ভালোই লাগে। কোন কিছু সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে খেতে হয়। চুইঝাল এটি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। তবে ভালো মানের চুই ঝাল নিতে হবে না হলে খাবারের স্বাদ তেমন পাওয়া যাবে না।  চুই ঝাল যখন আমরা বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসি তখন কিন্তু চুইঝালটি পরিষ্কার হয়ে থাকে না। 

তার গায়ে অনেক ময়লা আবর্জনা লেগে থাকে। প্রথমে সে ময়লা আবর্জনাকে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তারপরে সেটিকে ছোট ছোট টুকরায় কেটে নিতে হবে। তারপর যার যেটার সঙ্গে চুই ঝাল খেতে ভালো লাগে যেমন মাছ, মাংস, শাক-সবজি ইত্যাদি সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে খেতে হবে।

চুইঝাল এর উপকারিতা

চুই ঝাল এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। চুই ঝাল আমাদের শরীরের অনেক সমস্যার দূর করতে পারি যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, গ্যাসের সমস্যা দূর করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে,ডায়রিয়া, শরীর দুর্বলতা, আবার রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা ও বাড়ায় রক্তকে নিয়ন্ত্রণ রাখতেও সক্ষম। চুই ঝাল খেলে আমাদের খাবারের রুচির বৃদ্ধি পায়। 


চু্ইঝাল কি? চুই ঝাল ওষুধের মত কাজ করে। আমাদের শরীরের অনেক  রোগীর সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। এবং রোগ থেকে রক্ষাও পাইয়ে দেয়। চুইছালে সে করে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। ঝালের স্বাদ হচ্ছে ঝাল হওয়ার কারণে আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ এটি খেলে শরীরে চর্বি জমা হয় না এবং শরীর মোটাও হয় না তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারি।

চুই ঝালের ক্ষতিকারক দিক

চুইঝাল কি? চুইছাল খেলে যেমন উপকারী পাওয়া যায় তেমন অপকারও হয়। কারণ প্রতিটি জিনিসেরই একটি ভালো দিক থাকে খারাপ দিক থাকে। তার মধ্যে ছুই ঝালের ও খারাপ দিক এবং ভালো দিক রয়েছে যেমন, চুইঝাল অতিরিক্ত ঝাল। এটি  ঝাল হওয়ার কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং বুক জ্বালা করে পেট ব্যথা করে, 

ডায়রিয়া হয়এবং যাদের শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় এলার্জি রয়েছে তাদের এলার্জির সমস্যা হয় এবং এলার্জি থেকে শ্বাসকষ্ট অতিরিক্ত রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া এবং সেখান থেকে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। চুই ঝাল অতিরিক্ত ঝাল হওয়ার কারণে এটি খাওয়ার পর রক্ত চাপ তৈরি করতে পারেনা।  চুইচাল খেলে তেমন কোন সমস্যা হয় না। 

কিন্তু যদি এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া হয় তাহলে অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। চুই ঝাল নিয়মের মধ্যে খেলে আমাদের  শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। তাই আমরা সবসময়ই চুই ঝালটি নিয়ম করে খাব অতিরিক্ত মাত্রায় খেতে যাব না। 


চুইচাল কোথায় পাওয়া যায়?

চুইঝাল কি? এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ এশিয়ার জেলাগুলোতে যেমন খুলনা, যশোর,সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, এবং নড়াইলে এলাকায় এটি চাষ ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে গেছে এবং এটি ওখানে সবচাইতে বেশি পাওয়া যায়। শুধু যে খুলনা যশোর, বাগেরহাট নড়াইল ইত্যাদি জেলাগুলোতে পাওয়া যায় তা নয়। এটি এখন আমাদের বাংলাদেশের  সব জায়গাই পাওয়া যাচ্ছে। 

কারণ এটি চাহিদা আগের তুলনায় প্রচুর পরিমাণ বেড়ে গেছে কারণ এখন মানুষ চুই ঝালকে মাংস  রান্নাতে ব্যবহার করে এবং মাংসটি খেতেও খুব সুস্বাদু হয়। এই  চুই ঝাল সালের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গেছে যে এখন এটি অনলাইনে কেনা বেচা হচ্ছে।

চুই ঝাল খেলে কি কোন রোগ হয়?

চুই ঝাল খেলে কখনো কখনো শরীরের ক্ষতি হতে পারে যেমন, চুইঝাল এর স্বাদ ঝাল। তাই চুই ঝাল যখন অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেলা যায় তখন গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায় গ্যাসের সমস্যা বেড়ে গেলে বুকে জ্বালা করে ধোঁয়া ধেকর ওঠে এবং মুখের ভেতর টক টক ভাব আসে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। 

এমনকি যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদেরও অনেক সমস্যা হয় যেমন, চুই ঝাল খেতে তো ঝাল তাই অতিরিক্ত ঝাল। তাই চুইছাল খেলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। এবং শ্বাসকষ্টের সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তা থেকে অনেক মারাত্মক সমস্যাও হয়ে যায়।

চুইঝাল কি কাজে লাগে?

চুইঝাল কি? চুই ঝাল এটি সাধারণত রান্নার কাজে ব্যবহার হয়। চুই ঝাল মাংস, মাছ অন্যান্য সবজি ইত্যাদি সঙ্গে রান্না করে খেলে রান্নাই একটা আলাদা মাত্রায় স্বাদ নিয়ে আসে। এছাড়াও চুইঝালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চুইঝাল মূলত একটি গাছ শিকড় যেটিকে কেটে টুকরো টুকরো করে রান্না করা হয়। 

মাছ মাংসে চুই ঝাল দিয়ে রান্না করলে প্রচুর পরিমাণ স্বাদ বেড়ে যায় এই জন্য এটি এখন  বড় বড় রেস্টুরেন্ট এর রান্নাতেও ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে মাংস রান্নাতে। এমন কি অনেকেই এখন চুইঝালের জনপ্রিয়তা দেখে অনলাইনে বিজনেস শুরু করে দিয়েছে চুই ঝাল নিয়ে।

চুই ঝাল কিভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়?

চুইঝাল কি? এবং সংরক্ষণ করে রাখার কিছু উপায় রয়েছে তা হল? তুই ঝাল এটি একটি গাছের শিকড় যেটি সংরক্ষণ করে রাখা যায় অনেকদিন। এটি খোলা জায়গায় বহুদিন ভালো থাকে। এমনকি এটি আমরা ডিপ ফ্রিজ ও সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। আবার অনেকেই আছে যারা চুইঝালকে কেটে ছোট ছোট টুকরো করে সেটি রোদ্রেও শুাকায়।

বক্সে করে সংরক্ষণ করে রেখে দেয়।  এভাবে অবশ্য বছরের পর বছর সংরক্ষণ করে রাখা যায়।তবে খেয়াল রাখতে হবে যে চুই ঝালের টুকরোগুলো কাচের জারি বা প্লাস্টিকের জারে যেন রাখা হয়। কারণ প্লাস্টিক বা কাঁচের জারে বায়ু প্রবেশ করা প্রায় অসম্ভব তাই এই অবস্থায় রেখে দিলে চুইছালকে অনেকদিন সংরক্ষণ করে  রাখা যায়। 

এমনকি আগের যুগের মানুষরা সবচাইতে বেশি এই পথটি অবলম্বন করতেন সেটি হচ্ছে চুইঝালকে ছোট ছোট টুকরা কেটে সেটিকে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতেন। আবার আচার বাণীও সংরক্ষণ করে রাখ। চুই ঝাল এর আচার বানানোর পর সেটিকে তেলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখার কারণে এতে কোন ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারেনা। 

তাই সেটি বছরের পর বছর সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এবং প্রয়োজন মোতাবেক সেটি যেকোনো খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়। আবার অনেকেই আছে যারা চুইঝালকে রোদ্রে শুকিয়ে সেটির গুড়া করে রেখে দেয়। এবং এটি গোল মরিচের মত করে ব্যবহার করে যাই।

চুই ঝাল খেতে কেমন?

চুইঝাল কি? এবং ঝাল।দিয়ে এক বিশেষ ধরনের মসলা যা তরকারিতে দিলে তরকারির সাদ বাড়ায়। এবং তরকারিটা একটু অতিরিক্ত মাত্রায় ঝাল ঝাল লাগে। যেটি  খেতে সেরকম ঝাল না লাগলেও খাওয়ার পরে গলা ঠোঁট জিহ্বা একটু জ্বালাপোড়া করে।এমনকি এই চুই ঝালের শুক্রানু অনেক সুন্দর। এই জন্য মানুষের কাছে এটি খুব প্রিয় একটি মসলা। 

এখনকার অধিক মানুষই আছে যারা চুই ঝাল পছন্দ করে এবং রোজকার খাবারের সঙ্গে এই মসলাটি ব্যবহার করে। চুইছাল কিন্তু মরিচের মত ঝাল না এই এটিও ঝাল কিন্তু এর ঝালের মাত্রা একটু অন্যরকম। যেমন মরিচের ঝাল খেলে সেটি একটু হালকা মিষ্টি বা অন্য কিছু খেলে কমে যায়। কিন্তু  চুই ঝালের ঝাল অনেক তীব্র যার স্থায়িত্ব অনেকক্ষণ হয়ে থাকে 

এবং তরকারির সঙ্গে এটা রান্না করলে অধিক মাত্রায় ঝাল লাগে যারা অতিরিক্ত ঝাল খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সবচেয়ে বেস্ট। চুই ঝাল এর রূপ অনেক রকম যেমন চুই ঝাল খেলে আমাদের শরীরে অনেক উপকার পাই  তার মধ্যে কিছু উপকারগুলো হল। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, গ্যাস কম হয়নি ইত্যাদি। 


আবার এই চুই ঝালটি অপকারীয় বলা যায় যেমন চুইঝাল অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে ডায়রিয়া হতে পারে গ্যাস বেড়ে যেতে পারে এলার্জি বেড়ে যেতে পারে ইত্যাদি। আবার এই চুইঝালটি খেতে ঝাল এর মধ্যে কিছু মিষ্টি সাহায্য যুক্ত হয়েছে অনেক মজাদার একটি খাবার হিসাবে পরিচিত সবার কাছে।

লেখক এর মন্তব্য

 ছুই ঝাল এখন আমাদের বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় একটি খাবার।কিছুই ঝাল মাছ মাংস বিভিন্ন সবজি সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে খেতে খুব ভালো লাগে। এবং এটা স্বাস্থ্যসম্মত। আমার আর্টিকেলটি যদি পড়ে আপনাদের ভালো লেগে থাকে তো আপনাদের কাছে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url