চিড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা?
আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা নিয়মিত চিরা খায় কিন্তু এটির খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানেনা বা জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু কোথাও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। চিন্তার কারণ নেই আজকে আমি আপনাদেরকে আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে সঠিক উপায় জানাবো।
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা,ও চিড়া খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
ভূমিকা
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা, চীনা খাবারটির সম্পর্কে প্রায় সকলেই জানি। চিরা মূলত ধান থেকে আসে।চিরা মূলত ধান থেকে পাওয়া যায় যেমন, আমাদের বছরের শেষে যখন নতুন ধান বাড়িতে সবার আসে তখন সবাই উৎসব হিসেবে সেটিকে পালন করে। সেই সময়ই নতুন ধানকে নানান রূপ দেওয়া হয়। যেমন আটা, চিড়া, মুড়ি, খই ইত্যাদি।
তার মধ্যে অতি পরিচিত হচ্ছে চিরা যেটি তৈরি করার মাধ্যম হচ্ছে ধানকে খোসা থাকা অবস্থায় পানিতে ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর সেই ধান শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করলে ধানটি চ্যাপ্টা হয়ে যায় এবং দুই পাশ থেকে খোসাশোরে যেয়ে সেটা চিড়াতে রূপান্তর হয়। এবং এই চিড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বাজারে বিক্রি করা হয়।
এটি খাওয়ার অনেক রকম মাধ্যম আছে চিড়া পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া যায়, ভেজে খাওয়া চাই কিছু সঙ্গে মাখিয়ে খাওয়া চাই ইত্যাদি অনেক রকম ভাবে এটি কে খাদ্য হিসেবে প্রস্তুত করা যায়।
চিরা কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হয়?
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা, চিড়া কিভাবে খাওয়া যাবে বা কিভাবে খেতে হয় সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আমাদের নিজেদের ওপর। আসলেই চিড়া জিনিসটি অনেক ভাবে খাওয়া যায়। চিড়া যখন ভিজানো হয় সেটি নরম হয়ে যায় এবং ভেতর থেকে ফুলে ওঠে। তাই চিরাটা যেভাবে জার খেতে ভালো লাগে যেমন অনেকেই আছে যারা একটু শক্ত খেতে পছন্দ করে,
অনেকেই আছে যারা ছেড়া নরম খেতে পছন্দ করে তাই শক্ত নরম দুইভাবেই খাওয়া যায়। এমনকি চিড়ার সঙ্গে অনেক কিছু মিশিয়ে খাওয়া যায় যেমন কলা দিয়ে জিরা মেখে খাওয়া, দুধ দিয়ে চিড়া খাওয়া, চিনি দিয়ে চিড়া খাওয়া, আম দিয়েছি, ইত্যাদি অনেক ভাবে। যারা পানি দিয়ে ছেঁড়া ভিজিয়ে শুধু চিনি গুড় মিশিয়ে খায় তাদেরক
চিড়াটা পানির মধ্যে ঠিক ২-৩ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। তাহলে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে চিড়া। আর যারা ভিজিয়ে খাবে তাদের জন্য দুধের মধ্যে চিড়া ১০-১১ মিনিট ভিজিয়ে রেখে দিলে সেই চিড়া ভিটামিন বেড়ে যায় এবং খেতেও খুব সুস্বাদু হয়। আবার অনেকেই আছে যারা চিড়ার পোলাও বানিয়ে খাই। এটিও খেতে খুব সুস্বাদু।
কিন্তু চিড়ার পোলাও রান্না করে খেতে হয় সেটিকে তেল মসলা ইত্যাদি সবকিছু মিশিয়ে চুলায় বসিয়ে 10 থেকে 20 মিনিট রান্না করলেই সেটি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।
গর্ভবস্থায় শুকনা চিড়া খেলে কি হয়?
গর্ভবস্থায় চিড়া খাওয়ার উপকারিতা,চিড়া অতিরিক্ত পুষ্টিগুনে ভরা একটি খাবার।চিড়াতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি ভিটামিন রয়েছে যা একটি গর্ভবতী মহিলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছিরাতে আইরন রয়েছে যা গর্ভবতী মহিলার অতিরিক্ত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। শুকনা সিরাম গর্ভবতী মহিলার জন্য নিরাপদ এটি খেলে তেমন কোন ক্ষতি হয় না কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবেনা। শুকনা চিড়া তে অক্সিজেন রয়েছে যার শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এমনকি বাচ্চা কেউ শক্তিশালী করে।
সকালে খালি পেটে দই চিড়া খেলে কি হয়
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা, চিড়া এটি একটি হালকা খাবার। যা শরীরকে শক্তি যোগায় এবং অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে । চিড়া যদি সকালে খালি পেটে খাওয়া যায় তাহলে গ্যাসের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। এমনকি বদ হজম থেকেও রক্ষা। কারণ চিড়া খাবারটি তে কোন রকম তেল থাকে না বা কোন রকম মসলা থাকে না।
শুধু পানি দিয়ে ভিজিয়ে তার সঙ্গে চিনি বা গুড় মিশিয়ে খাওয়া যায় এইজন্য এতে বেশি ক্যালোরিও থাকে না। তার জন্য চিরা খেলে আমাদের শরীর এডজাস্ট করে নিতে পারে এমনকি ওজনও বাড়ায় না। শরীল সারাদিন হালকা মনে হয়নি। দই চিড়া খেলে কোনরকম পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। চিড়া খাওয়ার উপকারিতা।
বরঞ্চ যাদের ডায়রিয়া হয় তাদেরকে তুই চিড়া বা শুধু ছেঁড়া খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে ডাক্তারের। কারণ দই চিড়া থেকো কোনরকম তেল মসলা জাতীয় কোন কিছু মেশানো থাকে না এইজন্য পেটের কোন ক্ষতি করে না তাই ডাক্তার সবসময়ই সাজেস্ট করেন যে, যাদের ডায়রিয়া হবে তারা যেন বেশি বেশি চিড়া খায়।
চিড়া অক্সিজেন সমৃদ্ধ খাবার।দই চিড়া পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার, এবং কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার যা খেলে ওজন বাড়ে না।
চিড়া খেলে কি কোলেস্টেরল বাড়ে?
চিড়া খেলে কোলেস্টোরাল বেড়ে যায় কারণ চিরতে রয়েছে শর্করা এবং গ্লাইসেমিক থাকে তাই কোলেস্ট্রল বেড়ে যায়। চিড়া খাওয়ার উপকারিতা, চিড়ার সাধারণত প্রাকৃতিকভাবেই কোলেস্টোরাল মুক্ত একটি খাবার এবং ফান্টু কম হয়। চেরাতে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা শরীরের শক্তি যোগায়। চিড়াতে যেহেতু শর্করা এবং গ্লাইসেমিক রয়েছে।
তাই চিড়া যখন ভাজা হয় তাতে শর্করার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পায় তা থেকে কোলেস্ট্রল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। প্রক্রিয়াজাতকরণ চির হাতে প্রচুর পরিমাণ শর্করা এড করে। তাই সবসময়ই আমাদের উচিত প্রাকৃতিক ভাবে যে চিরিয়া তৈরি হয় সেই চিরা খাওয়া কারণ প্রাকৃতিক চীরাই শর্করা খুব একটা থাকে না ।
এমনকি চিরার সাথে যারা চিনিগুড় বা মিষ্টি জাতীয় কিছু মিশিয়ে খায় তাদের ও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে কারণ চিনি গুড় এগুলো মিষ্টি জাতীয় খাবার যাতে কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে।
চিড়া খেলে কি গ্যাস হয়?
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা, চিড়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে আমাদের পেটের জন্য, চিড়া খেলে গ্যাস বদহজম ইত্যাদি অনেক সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায় বিশেষ করে ডায়রিয়া হলে ডাক্তার পরামর্শ দেয় যেন চিড়া খাওয়া হয় চেরা ব্যতীত অন্য তেল চর্বি জাতীয় খাবার না খাওয়া হয়।
চিড়া খেলে তেমন একটা গ্যাস হয় না কারণ চিড়া সহজেই হজম হয়ে যায় এজন্য গ্যাস ঠিক তেমন একটা হয় না কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার অনেক মাত্রায় গ্যাস হয়ে যায় যেমন অতিরিক্ত চিড়া খেয়ে ফেললে হজমের সমস্যা দেখা দেয় এবং সেখান থেকে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। আমরা অনেকেই জানি দুধ খেলে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস সৃষ্টি হয়।
তাই চিরার সঙ্গে যদি দুধ বা দুধের সর মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে গ্যাস বেড়ে যায়। আবার অনেকেই আছে যারা চিড়া ভেজে খাই চিরা ভেজে খেলেও গ্যাস হয় কারণ চিড়া ভেজে খেলে সেটি হজম হইতে অনেক সময় নাই এবং তা থেকে গ্যাস সৃষ্টি হয়। এই পৃথিবীর সকল মানুষের হজম ক্ষমতা এক থাকে না তাই,
চিনা নিয়মমাফিক খেতে হবে প্রত্যেকটি হজম শক্তি ক্ষমতা মাফিক চিড়ার পরিমাণ মেপে খেতে হবে তাহলে দ্রুত হজম হবে এবং গ্যাসের সমস্যা হবে না কিন্তু, যদি আমরা অনিয়ম করে চিড়া খেয়ে ফেলি তাহলে গ্যাসের সমস্যা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যেতে পারি।
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা
চিড়া প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার। যেটি খেলে শরীরের পুষ্টিগুণ চাহিদা অনেকটাই কমে। চিড়া খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয়ে থাকে তার মধ্যে কিছু উপকারগুলো হল, গ্যাসের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, বদহজম, কমে, ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়, ইত্যাদি ।
চিড়া এটি একটি হালকা খাবার যা খেলে পেট ভারী বা শরীরে চর্বি জমা হয় না
তাই চিড়া খেলে খুব দ্রুত হজম হয়ে যায়। এমনকি ছিলাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ একটি খাবার যার শরীরে প্রচুর পরিমাণ শক্তি যোগায়। চিড়া খেলে প্রচুর পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায় এজন্য সকালে খালি পেটে চিড়া খেলে সারাদিন অনেক পরিমাণ কাজ করা যায়।
দই চিড়া খেলে কি ওজন বাড়ে?
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা, দই চিড়া খেলে কি ওজন বাড়ে?দই চিড়া খেলে ওজন বাড়ে না কারণ এটি কম ক্যালরিযুক্ত একটি খাবার আর যে খাবারে কম ক্যালোরি থাকে সে খাবার খেলে শরীরে চর্বি জমা হয় না এবং তা থেকে শরীর মোটা হয় না এবং ওজনও বাড়ে না। তবে যদি অতিরিক্ত মাত্রায় দই-চেরা খাওয়া হয় তো ওজন বেড়ে যেতেও পারে।
কারণ দই ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার তাই দইসঙ্গে যখন চিড়ার মিশ্রণ ঘটবে তখন দুইটি মিলে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যাবে যা খেলে ওজন বেড়ে যাবে। দুই প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে যদি চিরা আর দইয়ের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়া যায় তাহলে ওজন বাড়বে না।
চিড়া ভাজা খেলে কি মোটা হয়?
চিরা খাওয়ার উপকারিতা, চিড়া সাধারণত একটি হালকা জাতীয় খাবার যা খেলে ওজন বাড়ে না সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক উপকার হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জিরা খেলে ওজন বেড়ে যায়। যেমন ভাজিরা ভাজা ছিরাতে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যুক্ত হয়ে যায় তখন যদি চিরা খাওয়া হয় তাহলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনকি ভাজা চিরা গ্যাসও বাড়িয়ে দেয়।
চিড়া খাওয়ার অপকারিতা
চিরা খেলে তেমন কোন ক্ষতি হয় না কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়েছে যেমন,. নিয়মিত চিড়া খেলে ভালো কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যেতে পারে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলে আমাদের শরীরের অনেক সমস্যা হতে পারে। এমনকি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারি।
যেমন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। চিড়া যেহেতু কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ একটি খাবার যাতে প্রচুর পরিমাণ শর্করা রয়েছে আর এই শর্করা শরীরে প্রবেশ করলেও রক্তের চাপ অনেক বাড়িয়ে ফেলতে পারে তাই নিয়মমাফিক চিড়া খেতে হবে যাদের আগে থেকেই পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের অতিরিক্ত মাত্রায় চিড়া খেলে বদহজম গ্যাস বমি বমি পেটব্যথা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে তাই চিড়া নিয়মিত খাওয়া যাবেনা।
লেখক এর মন্তব্য
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা, চিড়া খেলে আমাদের শরীরের অনেক অনেক উপকার হয় কারণ চিনা অনেক হালকা একটি খাবার যা আমাদের শরীর খুব দ্রুত হজম করতে পারি। কিন্তু এই চিড়া আবার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কারণ কোন কিছুই অতিরিক্ত মাত্রা খাওয়া বা ব্যবহার করা ঠিক না তেমন চিড়া যদি পরিমাণে তুলনায় বেশি খাওয়া হয় তাহলে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার কাছে বন্ধুবান্ধব এর কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url