কেশরাজ চুলে ব্যবহার এবং এর উপকারিতা
কেশরাজ চুলে ব্যবহার ,কেশরাজ ফুল সম্পর্কে অনেকেই এখনো জানিনা। কেশরাজ কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। বা এটি আদৌ ব্যবহারযোগ্য কিনা বা এই ফুল থেকে তেল তৈরি হয় তা এখনো অনেকের অজানায় থেকে গেছে। চিন্তার কারণ নেই আজকে আমার আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের সবাইকে কেশরাজ সম্পর্কে জানাবো।
সম্পর্কে নিচে কিছু পয়েন্ট আকারে সাজানো আছে সেগুলো মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।কেশরাজ চুলে ব্যবহার, এটি কি কাজে ব্যবহার করা হয় তার
ভূমিকা
কিশোর রাজ এটি একটি ঔষধি গাছ। এই গাছ বন জঙ্গলে বা ধান ক্ষেতের জন্মে থাকে। এই গাছ সবসময়ই জন্মায় না। যখন ধান ক্ষেতের ধান উঠে যায় এবং ধান ক্ষেতের জমি এমনি পড়ে থাকে সেই সময় এই গাছ লতা আকারে জন্ম নেই। এই গাছটির রং সবুজ এবং এর ফুলের রং সাদা আর ফলের রঙও সবুজ। তবে ফলের ভেতরকার বীজের রং কালো হয়।
আরো পড়ুন:বহলার আঠা কি কাজে ব্যবহার করা হয়
এই গাছের ফল ফুল পাতা সবকিছুই ব্যবহারযোগ্য। বিশেষ করে কেশরাজ চুলে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। যাদের চুল পড়ে যায় বা ঝরে যাই তারা যদি কেশরাজ পাঠায় বেটে তার রস মাথায় লাগাই তাহলে চুলের গোড়া যেমন মজবুত হয় তেমন চুল পড়া বা চুল ঝরে যাওয়া থেকেও সমাধান পাওয়া যায়।
কেশরাজ গাছ চেনার উপায়
কেশরাজ চুলে ব্যবহার ,কেশরাজ গাছ চেনার কিছু সহজ মাধ্যম রয়েছে যেগুলো হচ্ছে, এই গাছ এর ডাল কালচে খয়রি রঙের হয়ে থাকে এবং পাতাগুলো সবুজ কালার চ্যাপ্টা লম্বা হয়ে থাকে। এবং এই গাছগুলো ধান জমিতে বা পেঁয়াজের জমিতে সবচেয়ে বেশি জন্যই। কেশরাজ গাছটি চেনার সহজ উপায় হচ্ছে তার পাতা।কারণ এই গাছের পাতা পুরো এবং লম্বাটে হয়।
এবং এই পাতার রং গারো সবুজ হয়ে থাকে আর পাতার গায়ের পেছন দিক খসখুসে লোমযুক্ত হয়ে থাকে। এ গাছের ফুল গুলো সাধারণত সাদা হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু গাছে কালো রঙেরও ফুল ধরে। তবে ফুলের রংটি দুই রকম হলেও ফুল একই রকম দেখতে হয়। দুই রকম ফুলের মধ্যে এখন কোন ফুল হয় পুরোটাই সাদা এবং ফুলের মাঝখানে কিছু অংশ হলুদ।
আর আরেক ধরনের ফুল হয় ফুলের পাপড়ি গুলো সাদা থাকে এবং ভেতরের কান্ডগুলো কালো কালো হয়ে থাকে। এই গাছটির বেশি লম্বা হয় না তবে এই গাছের শাখা-প্রশাখা অনেক ছড়াতে পারে। তারপরে এই গাছের ফলের বীজ কালো হয় এবং সরিষার দানার মত দেখাই।
কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া যায়?
কেশরাজ এই গাছটি খুব উপকারী একটি গাছ। কেশরাজ চুলে ব্যবহার, এই গাছ যদি পাটাই পিসি তার রস বের করে সেটিকে যদি চুলে ব্যবহার করা হয় তাহলে চুল কালো ঘন হয়। এবং যাদের চুল পড়া বা চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যাই অনেকদিন থেকে ভুগছেন তারা যদি এই কেসরাজ গাছের রস চুলে ব্যবহার করে।
সপ্তাহে দুই দিন তাহলে চুল পড়া কমে যায় বা ঝরে যাওয়া কমে যায়। এই গাছটি প্রায় অনেক দেশে পাওয়া যায় যেমন ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, চীন, দক্ষিণ এশিয়া, এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই গাছের দেখা মিলে। এই গাছ মূলত ধান জমিতে জন্মায়। তবে যখন ধানের জমিতে থেকে ধান তুলে নেওয়া হয়,
এবং কিছুদিন জমিটাকে আলগা করে রেখে দেওয়া হয় ঠিক সেই সময় এই গাছটি জন্ম। এই গাছটি চেনার উপায় হচ্ছে এই গাছ ডালপালা কালচে রঙের হয়ে থাকে। এবং পাতা লম্বা ও চ্যাপ্টা হয়। পাতার ওপর পিঠ খসখসে হয় এবং কাটাযুক্ত অনুভব হয়।
কেশরাজ দিয়ে চুলের যত্ন
কেশরাজ চুলে ব্যবহার, আমরা এখনো অনেকেই জানিনা যে কে সিরাজ গাছ আমাদের চুলের জন্য ঠিক কতটা উপকারী। এই গাছ চুল পড়া চুল ভেঙ্গে যাওয়া চুলের রং নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। এই গাছের রস কালো চেয়ে সবুজ হয়ে থাকে যেটি স্বাদ কস যুক্ত এবং তিতা যা চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এবং চুল কি নরম সিল্কি রাখে।
কেশরাজ ব্যবহার করার নিয়ম, কেশরাজের কিছু পাতা এবং কিছু ডাল নিতে হবে। এবং সেটিকে পরিষ্কার পানিতে একটা একটা করে পাতা ধুতে হবে যেন কোন ময়লা আবর্জনা থেকে না যাই। তারপরে সেই পাতা গুলোর কে পানি ঝরাতে রেখে দিতে হবে। পানি ঝরে গেলে চিল নড়া নিয়ে এসে সেটাতে বাড়তে হবে।
বাটা শেষ হয়ে গেলে সেই একটি পাত্রে রেখে তার রস খেয়ে তার থেকে আলাদা করে নিতে হবে। এবার এটি চুলে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু এটি অনেকেই অনেক ভাবে ব্যবহার করে থাকে যেমন কেউ তেলের সঙ্গে ব্যবহার করে থাকি কেউ আবার এমনি ব্যবহার করে থাকি। তবে চিন্তার কারণ নেই দুইভাবেই ব্যবহার করলেই উপকার পাওয়া যাবে।
তারপর সেটিকে চুলে লাগিয়ে দুই ঘন্টা রেখে দিয়ে চুল শুকিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
কেশরাজ পাতার উপকারিতা
কেশরাজ চুলে ব্যবহার, এটি ব্যবহার করে অনেক উপকার পাওয়া যায় চুলের জন্য বিশেষ করে। এ গাছে ফুল ফল পাতা কাণ্ড শিকড় সবকিছুই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোন কিছুই ফেলে দিতে হয় না সব কিছুই যদি বেটে একসঙ্গে রস করে তুলে দেওয়া হয় তাহলে চুল সুন্দর এবং মুসলিম।
থাকে তবে কেশরাজ পাতা যে শুধু চুলের জন্যই উপকারী তা না এটি ঔষধের জন্য বিখ্যাত। এই পাতা দিয়ে বিশেষ বিশেষ ঔষধ তৈরি করা হয়। যা আদিম যুগের মানুষরা তৈরি করত। এবং সেটাই তাদের জীবিকা হিসেবে নির্ভরযোগ্য ছিল।
কেশরাজ পাতার উপকারিতা
কেশরাজ পাতাতে ওষুধি গুণ এবং অন্যান্য অনেক গুণ রয়েছে। কেশরাজ পাতাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এবং চুল ঝরে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।কেশরাজ পাতাতে এতটাই গুন আছে যে কোন জায়গা যদি কেটে যায় বা আঘাত পায় তো সেই জায়গায় যদি এই কেশরাজের পাতা বেটে লাগিয়ে দেওয়া হয় তবে খুব দ্রুত সে জায়গা শুকিয়ে যায়।
কেশরাজ পাতার অপকারিতা
কেশরাজ পাতার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতাও রয়েছে। তার মধ্যে কিছু অপকারিতা হলো যাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণ এলার্জি রয়েছে তাদের এই পাতায় পাতার রসের সংস্পর্শে গেলে এলার্জি বের হতে পারে।
আবার এই কেশরাজ পাতার রস আমরা যে চুলে ব্যবহার করি সেটি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় হয়ে যায় তাহলেও চুলের প্রচুর পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে।এবং মাথাব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে। চুল উঠতে শুরু করতে পারে বা চুল ভেঙ্গে যেতে পারে।
কেশরাজ থেকে তেল তৈরি
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা এখনো পর্যন্ত জানেন না যে কেশরাজ থেকে তেল তৈরি করা সম্ভব। এবং সেটি ঘরে বসেই তৈরি করা যায়। কেশরাজ চুলে ব্যবহার, কেশরাজ তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। আমরা যেভাবে বাড়িতে তেল বানাতে পারিস তাহলে, নারিকেল তেল নিতে হবে তার মধ্যে ১০ থেকে ২০ টি পাতা সেটি হচ্ছে কেশরাজের পাতা নিতে হবে।
এবং সেটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুতে হবে। তারপর সেটি পানি ঝরাতে রেখে দিতে হবে। পানি ঝরে গেলে রেখে দিতে হবে। তারপর নারিকেলের তেলটিকে চুলায় পরিষ্কার একটি পাত্রে গরম করতে নিতে হবে। তারপর শুকিয়ে রাখা কেশরাজ পাতা গুলো নারিকেল তেলের ভেতর ছেড়ে দিতে হবে এবং হালকা দাঁত দিয়ে নাড়তে থাকতে হবে।
যতক্ষণ না পাতার মধ্যে থাকা নির্যাস গুলো তেলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। এবার প্রস্তুত করা রেডি তেলটিকে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করতে দিতে হবে তারপর ছাঁকনির সাহায্যে পাতাগুলোকে তেলের মধ্যে থেকে ছেকে নিতে হবে এবং সেই তেল চুলে ব্যবহার করলে চুল বৃদ্ধি করতে এবং চুল পড়া থেকে রক্ষা করে।
কেশরাজ খেলে কি হয়
কেশরাজ চুলে ব্যবহার ,কেশরাজ পাতা খাওয়ার বিভিন্ন অপকারিতা দিক রয়েছে। কেশপাতা এটি একটি ঔষধি পাতা। আদিব যুগের মানুষের এই পাতাকে ঔষধ হিসেবে সেবন। কেশরাজ পাতা দিয়ে এখন ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট বানিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন। এই কেশরাজ পাতা খেলে লিভার ভালো থাকে, রক্ত পরিষ্কার, হজম শক্তি বাড়ে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে ইত্যাদি।
কেশরাজ পাতা উপকারী গুণগুলো রয়েছে বলে যে এটি সব সময় বেশি বেশি খাব তা কিন্তু। কারণ এটি যদি অতিরিক্ত মাথায় খাওয়া হয় তাহলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই এটি একটি নিয়ম মাফিক খেতে হবে। তবে অবশ্যই এই পাতা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই হবে।
কেশরাজ কি কাজে ব্যবহার করা হয়?
কেশরাজ মূলত চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়।। কেশরাজ চুলে ব্যবহার ,এটি খুবই চুলের জন্য উপকারী। চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। আগের মত এখন আর তেমন কেশরাজ কেউ ব্যবহার করেনা। তবে প্রাচীনকালে এর ব্যবহার প্রচুর ছিল। কারণ প্রাচীনকালের মানুষরা বিশ্বাস করত কেশরাজ চুলে দিলে চুলের গোড়া মজবুত হয়।
এবং চুল লম্বা করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এমনকি কেশ রাজ্যে শুধু চুলের জন্য উপকারী বা চুলের যত্ন নেই তা কিন্তু না এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যেমন এটি হজম শক্তি বাড়ায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্র, ইভার সুস্থ রাখে, ইত্যাদি।
কে সিরাজের পাতা বিভিন্ন বিভিন্ন কাটা ছেঁড়া ভালো করতে পারে যেমন, কোথাও যদি কেটে যায় এবং সেই জায়গাটা যদি না শুকায় তাহলে কেশরাজের পাতা বেটে সেখানে লাগিয়ে রাখলে কিছুদিনের মধ্যেই সে জায়গাটি শুকিয়ে যায়।
লেখক এর মন্তব্য
আমার মতে কেশরাজ খুব উপকারী একটি গাছ। যেটি সবকিছুই কাজে লাগে যেমন কেশরাজ গাছের পাতা ফল শেকর ডালপালা সব কিছুই খুব। আদিম যুগের মানুষেরা এটিকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করত। এবং চুলের গোড়া মজবুত করতো। তবে এটাই সত্যকে সিরাজের পাতায় রস তুলে দিলে খুব দ্রুত চুল লম্বা হয় এবং চুল মজবুত থাকে। আপনাদের যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url