করমচা ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

করমচা ফলের উপকারিতা, সম্পর্কে আমরা অনেকেই এখনো জানি না বা যারা জানি তারা সঠিক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছে অনেক জায়গায়। তবে কোথাও খুঁজে পাইনি। চিন্তার কারণ নেই আজকে আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সবাইকে জানাবো।



করমছা ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য নিচে পয়েন্ট আকারে সাজানো আছে সেগুলো মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

ভূমিকা

করমচা ফলের উপকারিতা, এই ফল আমাদের শরীরের জন্য এতটাই উপকারী যে এটি সবাই জানলে সবাই নিয়মিত খেত। এই ফল ভিটামিন সি দ্বারা পরিপূর্ণ। এমনকি এই ফল খাবার রুচিও বানাই। আদিম যুগের মানুষদের কাছে যখন ঔষধ বা ডাক্তার চিকিৎসা ছিল না তখন তারা এই গরম চা খেয়ে জ্বর দাঁতের ব্যথা মাড়ির ব্যথা এগুলো ভালো করত। 

করমচা ফল শুধু যে আমাদের শরীরের জন্যই উপকার করে তা না এটির দাঁতকে মজবুত করে এবং দাঁতের গোড়ায় শক্ত রাখে। করমচা ফল এটি স্বাদ টক এবং কশ যুক্ত।তবে এই ফলটি খেতে খুব সুস্বাদু।

করমচা ফলের উপকারিতা

করমচা  ফল খুব উপকারী এবং গুণাবলী এটি ফল। এই ফলে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি এবং ভিন্ন ধরনের ভিটামিন  রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। করমচা ফলের মধ্যে যে ভিটামিন গুলো রয়েছে তার কিছু তালিকা রয়েছে যেমন, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ইত্যাদি। এমনকি এই ফল  শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে পারে। 


গরম চাফল এই যে ভিটামিন গুলো রয়েছে এগুলো আমাদের শরীরের জন্য এতটাই উপকারী যে ভিটামিন সি এই টি আমাদের শরীরের শক্তি যোগাড়ের সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এটি আমাদের শরীরের  বিষাক্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করে নতুন কোষ গুলোকে রক্ষা করে। তবে অনেকেই ভাবে যে এই ফল খেলে হয়তো মোটা হয়ে যাবে। 

বা শরীর অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত হতে শুরু করবে। তবে এর মধ্যে কোনটাই হয় না। কারণ করমচা ফলে কম ক্যালরি রয়েছে। আর কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে কখনোই শরীর মোটা হয় না। গরম যে ফলে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এর পরিমাণ প্রচুর রয়েছে যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতে সহায়তা করে।

গর্ভাবস্থায় করমচা খাবার উপকারিতা

করমচা ফলের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায়ী করমচা ফল খাওয়া যাবে তবে সেটি সতর্কতামূলক বজায় রেখে খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় গরম চা ফল খাওয়া যাবে বলে যে অধিক পরিমাণে খেয়ে ফেলবে তা কিন্তু নয়। কারণ গর্ব অবস্থায় শরীরের অবস্থা অনেকটাই সেনসিটিভ  থাকে।  তাই অতিরিক্ত কোন কিছু খেয়ে ফেললে  শরীর এর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না। 

এবং নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে এই ফলটি যদি কিছু সর্তকতা মেনে খাওয়া যায় তবে ফলটি  খেলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। এই ফল প্রচুর ভিটামিন যুক্ত একটি ফল এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা গর্ভবতী মহিলার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ  ভিটামিন সি ইমিউনিটি বাড়াতে সক্ষম। 

তাই একজন গর্ভবতী মহিলা যদি গরম চাফল খাই তাহলে তার শরীরের ইমিউনিটি বাড়বে যা বাচ্চা এবং মা দুজনের জন্য খুব দরকার। আবার গর্ববস্থায় একটি সমস্যার সবচাইতে বেশি হয় সেটি হচ্ছে হজমের সমস্যা। গর্ব অবস্থায় হজম খুব কম হয়। তবে এই করমচা ফল খেলে খুব দ্রুত হজম হয়ে যায়। এবং গ্যাসের সমস্যা থেকেও সমাধান পাওয়া যায়। 

এই ফল দ্রুত হজম হওয়ার কারণে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে না। করমচা ফল অধিক কালের যুক্ত একটি ফল হওয়ার কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই একজন গর্ভবতী মহিলার করমচা ফল খেলে তার ওজন সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবে।

করমচা এবং ক্র্যানবেরি একই

করমচা এবং ক্র্যানবেরি দুটি আলাদা রকমের ফল এদের মধ্যে কোন মিল নেই। করমচা এটিই এক জাতির ফল ক্র্যানবেরি এটি আরেক জাতের ফল এদের দুজনের মধ্যে কোন মিল। তবে আমাদের মধ্যে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এই দুই ফলকে একই মনে করে। করমচা ফল এটি গাছ বেশি লম্বা হয় না। বেশ ছোটখাটোই হয়। 

করমচা ফলে অধিক পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে। করমচা ফলের উপকারিতা, যেমন ভিটামিন সি, ফাইবার, এন্টিঅক্সাই, ক্যালোরি, ম্যাগনেসিয়াম ও  পটাশিয়াম। করমচা ফলটি ছোটখাটো এবং গোলাকার আকৃতির হয়ে থাকে এবং এই ফলটি কাটলে 6 থেকে সাতটা বীজ বেরিয়ে আসে।তবে এই ফল সব ভাবেই খাওয়া যায় এটি কাঁচাতেও খাওয়া যায় পাকাতেও খাওয়া যায়। 

তবে খালি মুখে এই ফল খাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ এই ফলটি যখন কাঁচা থাকে তখন অতিরিক্ত কশ যুক্ত ও টক হয়ে থাকে। তবে এটি যদি লবণ বা মরিতে মাখিয়ে খাওয়া হয় সুস্বাদু লাগে এবং টক বা কসির মাত্রাটাও কম লাগে। ক্র্যানবেরি এই ফলও ভীষণ উপকারী একটি ফল। ক্র্যানবেরি  ফলটি দেখতে ছোট সাইজের হয়ে থাকে। 

এবং লাল বর্ণ।ফলটি স্বাদ প্রচুর টক যা খালি মুখে খাওয়া প্রায় অসম্ভব। এই ফলের সঙ্গে যদি কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন চিনি গুড় এসব মেশানো না হয় তবে এই ফল খাওয়াটি খুব কষ্টকর হয়ে যায়। এর ভিটামিন গুলো আলাদা করণ ছাড়া ফলের ভিটামিন গুলোর থেকে। 

করমচা ফল কিভাবে খেতে হয়

করমচা ফলের উপকারিতা, এই ফল সরাসরি খাওয়া যায় বা কিছু সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। তবে করমচা ফল সরাসরি খাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। কারণ করান যে ফলে প্রচুর পরিমাণ কষ এবং ত্বক স্বাদযুক্ত হয়ে থাকে। যা খালি মুখে খাওয়া খুব কষ্টদায়ক। এই ফল কাঁচাতেও টক হয় পাকাতেও টক হয়। তবে কাচাতে যে পরিমাণ টক থাকে,

টাকাতে সে পরিমাণ টক থাকে না। তাই কাঁচা পাকা দুই ভাবি ফলটিকে কিছু সঙ্গে মিশিয়ে বলতে চিনি বা গুড় দিয়ে মেখে খেলে বেশ সাধু নাকি এবং খাবারটি কষ্টের সঙ্গেও খেতে হয় না। এখন অনেক রেস্টুরেন্ট আছে যারা এই গরম চাফলকে ফালাতের সঙ্গে পরিবর্তন করেন। তবে সালাতের সঙ্গে করমজাফলটি খেতে বেশ মজা লাগে। 

আবার অনেকেই আছেন যারা রান্না করে সংরক্ষণ করেন। তবে রান্না করা বলতে চাটনি বা আচার বানানো যাই। তবে চাটনি বা আচার বানিয়ে যদি সেটি রেখে দেওয়া যায় সেটা অনেকদিন ব্যবহার করা। তাই বেশি আ বা ফ্রি রেখে দেন অনেকদিন ধরে খাবারের জন্য।

আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা  করমচার চুনা বানিয়ে রাখেন। তবে করমচার চোনা বানিয়ে রাখার পর সেটি যদি কোন খাবার যেমন মাছ-মাংস ডাল ইত্যাদি এই খাবার গুলোর মধ্যে দিয়ে রান্না করা হয় তো খেতে খুব সুস্বাদ।

করমচা ফল কখন হয়

করমচা ফল এটি একটি গ্রীষ্মকালীন ফল।এ ফলটি শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালী পাওয়া যায়।কারণ এই ফলটি শুধু গ্রীষ্মকালী ধরে থাকে। অন্য সময় খুব কমই হয় এই ফলটি। তবে যদিও হয় সে সময়ের ফলগুলো তেমন সাদীর হয় না বা ভালো হয় না পোকা নষ্ট করে ফেল। আর গ্রীষ্মকালে এই ফলটি গাছে প্রচুর পরিমাণ আসে এবং ফলটি রসালো হয় এবং ৬০যুক্ত হয়। 

করমচা ফলের উপকারিতা, এই ফল মাছ থেকে মেয়ে এর মধ্যে পাওয়া যায় এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এর মধ্যে পাওয়া যায়। কারণ এই সময় রোদের আদ্রতা বেশি থাকে যা ফলকে পরিপক্ক হতে এবং বড় হতে সাহায্য করে। গবেষণায় জানা গেছে যে করমচা ফলটি আর্দ্রতা পছন্দ করেন এবং এটি আদ্র তাই জন্মাই ভালো।

 করমচা থেকে চেরি

করমচা ফলেরউপকার, গরম চা এবং চেরি এই দুই ফল দুই রকম। এদের মধ্যেও কোন মিল নেই। কারণ করমচা এটি ভিন্ন স্বাদের এবং ভিন্ন জাতের ফল। আর চেরি ভিন্ন জাতের এবং ভিন্ন স্বাদের একটি ফল। চেরি খেতে মিষ্টি হয়। আর  করমচা খেতে টক এবং কশ  স্বাদের। করমজা ফল এর স্বাদ ভীষণ টক এবং কোষ যুক্ত হয়ে থাকে। 

এই ফলটি কাঁচাতেও টক হয় পাকাতেও টক হয়। তবে কাচাতে যে পরিমাণ টক থাকে পাকাতে ঠিক তার থেকে একটু কম পরিমাণ। এবং এই ফলটি দেখতে হালকা লম্বা এবং গোলাপের মাঝখানে। আর চেরি এই ফলটি খুব মিষ্টি শাকযুক্ত এটি ফল। এই ফলে কোন টক নেই। তবে এই ফলটি দেখতেও গরম চা ফলের মতই। 

তাই কিছু কিছু মানুষ আছে করমচা ফল আর চেরি ফলকে একই মনে করে। কারণ গরম যে ফল যখন পেকে যায় তখন এর ভেতরটা লাল রক্তের মত দেখায়। তেমন চেরিও একই চেরি ফল যখন পেকে যায় তখন তার ভেতর রক্তের মতো লাল দেখায়। তবে এই দুই ফলের মধ্যে কোন মিল নেই এই দুই ফল দুইটি ভিন্ন জাতের এবং ভিন্ন স্বাদের ফল।

করমচাফল কোথায় হয়

করমচা ফলটি প্রায় অনেক দেশেই পাওয়া যায়।  তবে এ ফলটি আগে তেমন সবার কাছে পরিচিত ছিল। যখন থেকে এই ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে মানুষ জানতে শুরু করেছে তখন থেকে এই ফলের চাষাবাদ বেড়ে গেছে এবং চাহিদাও বেরিয়েছে। এই ফলটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ইত্যাদি বিভিন্ন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। 

তবে সবচাইতে বেশি আমাদের বাংলাদেশি এই ফলটি চাষ হয়ে থাকে। কারণ বাংলাদেশের  প্রায় বেশিরভাগ সময়ই গরমের আদ্রতা বেশি থাকে। এবং বেশি জন্ম পছন্দ। তবে গবেষণায় আরো জানা গেছে যে ফলটি চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া,থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ আমেরিকায় এর চাষাবাদ বেড়ে গেছে।

করমচা ফল খেলে কি হয়

এই ফলটি প্রচুর ভিটামিন যুক্ত একটি ফল। যা আমাদের শরীরকে সতেজ রাখে এবং ভেতর থেকে মজবুত করে। সব থেকে বড় বিষয় এই ফলটি খেলে আমাদের শরীরের শক্তি যোগান পাই। এই ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। তবে এই ফলটি যেমন উপকারী তেমন এর কিছু সতর্কবার্তা বাদেও রয়েছে। 

যেমন এই ফলে প্রচুর পরিমাণ এসিড রয়েছে যা অতিরিক্ত খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তবে বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলার জন্য এটি মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। তবে যদি এই ফলটি নিয়মমাফিক হওয়া চাই তবে ত্বক অনেক সুন্দর হয়। এই ফলটি প্রচুর পরিমাণ টক হওয়ায় ফলটি খেলে যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে বা হজমের সমস্যা আছে।

করমচা ফলের উপকারিতা, তাদের গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, এবং হজমের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কারণ প্রত্যেকটি মানুষের শরীর একই রকম হয় না প্রত্যেকটি মানুষের শরীরের কন্ডিশন একাদ রকমের হয়ে। যার কারণে সবাই এই ফলটি খেয়ে শরীরের সঙ্গে এডজাস্ট করে নিতে পারে না তার ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

করমচা খাওয়ার অপকারিতা

করমচা ফল এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী, তবে কিছু কিছু সময় এই ফলটি ক্ষতির কারণ হয়েও বসে। কারণ প্রত্যেকটি জিনিসের যেমন ভালো গুণ রয়েছে তেমন খারাপ গুন রয়েছে। করমচা ফলের উপকারিতা,তবে এই ফলটি যদি নিয়মমাফিক খাওয়া যায় তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা খুব কম। কিন্তু  আবার যদি এই ফলটি অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেলে তাহলে অনেক সমস্যা হতে পারে। 

যাদের হজমের সমস্যা থাকে বা গ্যাসের সমস্যা থাকে তাদের এই সমস্যাগুলো বেড়ে যেতে পারে। কারণ ফলটি  টক  সাদ যুক্ত একটি ফল। আর আমরা সবাই জানি যে টক খেলে গ্যাসের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই ফলটি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেলা হয় তাহলে হজমের সমস্যা গ্যাসের সমস্যা এবং কিডনির সমস্যা হতে পারে। তবে জেনে রাখা ভালো এই ফলটি কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতি করে একটি ফল।

লেখক এর মন্তব্য

আমার মতেই এই ফলটি উপকারী বলে যে আমরা অধিক পরিমাণ খেয়ে ফেলবো তা কিন্তু নয়। সবকিছুই মেন্টেন করে খাওয়াটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরী। তাহলে ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা পাব এবং আমাদের শরীরের উপকারিতা ও বাড়াতে পারবো। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে পড়ে ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার কাছে বন্ধুবান্ধবদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url