মেহেগণি ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
মেহেগণি ফল খাওয়ার উপকারিতা, মেহগণি ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই সঠিক তথ্য জানতে চাইছেন। কিন্তু কোথাও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। সমস্যা নেই আজকে আমরা আপনাকে সঠিক তথ্য জানাবো আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তাই মন দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
মেহবুনি ফল খেয়ে শরীরের যে যে উপকার গুলো হয় সেগুলো জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
মেহেগণি ফল খাওয়ার উপকারিতা। আমাদের অতি পরিচিত একটি ফল হচ্ছে মেহগণি। মেহগণি ফল অনেক কাজে আসিম। শুধু যে মেহগুণ ফলই কাজে আসি এটা না। মেহগনি গাছ দিয়ে অনেক উপকারী জিনিসপত্র বানানো যায়।মেহগুনের ফল দিয়েছে মন ওষধ বানানো যায়। তেমন মেহগুনের গাছ দিয়েও ঔষধ বানানো যায়। মেহগনি ফলটি দেখতে লম্বাটে এবং এর গায়ের রং বাদামী।
ফলটি দেখতে যতটা সুন্দর এরশাদ ততটাই তিক্ততা। এই ফলের স্বাদ তিতকুট। এবং খাওয়ার অযোগ্য। যা খালি মুখে কখনোই খাওয়া সম্ভব না।এইজন্য এই ফলকে কোন ঔষধের সঙ্গে মিশিয়ে বা কোনভাবে প্রক্রিয়াজতকরণ করে ওষুধ বানিয়ে খাওয়া হয়। আদিম যুগের মানুষরা এই জরিবুটি এ গাছের ফল ওই গাছের ফল এসব দিয়ে ওষুধ তৈরি করে তাদের প্রয়োজন মেটাতো।
কারণ সেই সময় আমাদের এই সময়ের মতো উন্নত মানের চিকিৎসা ছিল না। তাই তাদের এসব জরিবুটি দিয়ে কাজ চালাতে হত।
মেহেগণি ফল খাওয়ার উপকারিতা
মেহগনি ফল ,এই ফলে প্রচুর গুণ রয়েছে তা আমরা অনেকেই এখনো জানিনা। মেয়েগুলির ফল উপকারি হলেও এই ফল আমরা সরাসরি খেতে পারি না। কারণ এতে আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বা এই ফলের স্বাদ তিতা। আমাদের অনেকেরই এখনো অজানা যে মেহগনির ফল থেকে তেল তৈরি হয়।
আবার এই ফল দিয়ে অনেক রকমের ওষুধও তৈরি হয়। যাদের শরীরে এলার্জি বা চুলকানি জাতীয় ফুসরী রয়েছে তারা যদি বেগুনি তেল শরীরে মালিশ করে তাহলে দ্রুত আরাম পাবে। মেহেগণি ফল খাওয়ার উপকারিতা।
মেহগনি ফল কি কাজে লাগে
মেহগনি ফল এবং এর ভেতরে থাকা বীজ আমাদের অনেক অনেক কাজে লাগে। মেয়েগুলির বীজ থেকে নতুন মেহগনির গাছের চারা তৈরি করা যায়। এই গাছ ছায়াযুক্ত জায়গা বা সচ্ছতে ভিজে জায়গায় জন্মাতে বেশি সক্ষম। মেগুনি ফল থেকে যে বীজটা পাওয়া যায় সে বীজ কে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে তেল তৈরি করা সম্ভব।
মেহেগণি ফল খাওয়ার উপকারিতা,এবং সেই তেল আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।যাদের শরীরে এলার্জি বা চুলকানি জাতীয় ফুচেরি ইত্যাদি অনেক অনেক রকমের চুলকানি থাকে তারা যদি এই তেল শরীরে ব্যবহার করে তাহলে চুলকানি গুলো ভালো হয়ে যায়। আবার এই বীজ আমাদের শরীরের রক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে হজম শক্তি বাড়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ইত্যাদি
মেহগনি ফল খাওয়ার নিয়ম
মেহগনি ফল খাওয়ার নিয়ম, মেহগনি ফল অনেক কার্যকরী একটি ফল। এই ফলটি জর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।জ্বর থাকা অবস্থায় মেয়েগুনির ফলের গুড়া যদি দুই থেকে তিন চামচ গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় তো আস্তে আস্তে জ্বর কমতে থাকে। মেহগনির ফল কখনো সরাসরি খাওয়া সম্ভব নয়। বা খাওয়াটাও ঠিক নয়।
তাই মেহগনি ফলের বীজ গুঁড়ো করে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে খেতে হয়। মেহগনি ফলের গুঁড়ো যদি সকালে খালি পেটে খাওয়া যায় তাহলে গ্যাস বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়া যাই। এখন প্রায় অধিক দোকানেই মেহগনি ফলের ক্যাপসুল পাওয়া যাচ্ছে এই ওষুধটি সবাই হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য খেয়ে থাকি। মেহেগণি ফল খাওয়ার উপকারিতা
মেয়ে গুনির বীজের ঘোড়া খেলে হাইপ্রেট্রেশন নিয়ন্ত্রণে এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করেন ,ক্ষুধা বৃদ্ধি করে ,জ্বর ঠান্ডা নিয়ন্ত্রণে রাখে, রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে ইত্যাদি যাদের অধিক পরিমাণে খুদা কম লাগে তারা যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গরম পানির সঙ্গে এক চামচ মেহগনি ফলের গুড়া মিশিয়ে খাই তাহলে খিদা চাহিদা বেড়ে যাবে।
মেহগনির বীজ খাওয়ার নিয়ম
মেহগনি ফল খাওয়ার উপকারিতা, যাদের ক্ষুদার চাহিদা কম তারা এই ফল খেয়ে খিদার চাহিদা বাড়িয়ে নিতে পারে। কারণ এই ফলে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে যা আমাদের খিদার বাড়াতে সাহায্য করে। এবং খুব দ্রুত হজম শক্তি বাড়াতেও সক্ষম। আমরা যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একটা করে মেহগনি ফলের বীজ সেবন করতে হবে।
তাহলে আমাদের দিন দিন খাবারের চাহিদা বেড়ে যাবে। গবেষণায় জানা গেছে যে মেহগনি ফলটি প্রাচীন যুগের মানুষরা সব থেকে বেশি ব্যবহার করত। এখনো ব্যবহার করে কিন্তু সেটি খুবই সামান্য মানুষ। কারণ এখনকার মানুষের কাছে এটি অজানা হয়েছে ফলের কতটুকু গুন রয়েছে। মেহগনি ফল খাওয়ার কিছু নিয়ম,
মেহেগণি ফল খাওয়ার উপকারিতা,এই ফল খাওয়ার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুতে হবে এবং সেটি রোদ্রে শুকিয়ে তা থেকে গুঁড়ো তৈরি করতে হবে এবং প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে এই গরু দুই থেকে তিন চামচ গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে তাহলে খাবারের চাহিদা বেড়ে যাবে হজম শক্তি বেড়ে যাবে বিভিন্ন এলার্জি জাতীয় রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে ইত্যাদি। এমনকি এই ফলের গুড়া মধুর সাথে মিশিয়ে খেলেও অনেক ভালো।
মেহগনি ফলের বিচে কি থাকে?
মেহেগণি ফল খাওয়ার উপকারিতা,মেহগনি ফলের বীজ ঔষধি কাজে ব্যবহার করা হয়।এই ফলের বিজি থাকে কঠিন ও কঠিন যুক্ত আঁশ। এই বীজ দিয়ে চাষিরা নতুন গাছ তৈরি করে। এবং এই বীজ এতটাই সক্রিয় যে নতুন গাছ খুব দ্রুত জন্মায় কিন্তু এই মেহগনি গাছের বীজ জন্মানোর জন্য পরিপক্ক একটি জায়গা প্রয়োজন যেমন শীতল জায়গা ভেজা ছাত্রীতে জায়গায় এই বীজ থেকে অঙ্কুর বের হতে বেশি সময় লাগে না।
মেহগনি ফলের অপকারিতা
মেহগনি ফলের উপকারিতা যেমন আছে তেমন অপকারিতা আছে। তার মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করব। মেহগণি ফল আমরা সবাই চিনি। এটি দেখতে কিছুটা লম্বা টি এবং এর রং বাদামী। এই ফল সবসময়ই ধরে না শুধু বসন্তের সময় দেখা যায় এই ফলকে। এই ফলের স্বাদ ভীষণ তিক্ততা যা খাওয়ার অযোগ্য।
মেহেগণি ফল খাওয়ার উপকারিতা,কিন্তু এই ফলের ঔষধি হিসেবে খুব গুণ রয়েছে। এই ফল খালি মুখি খাওয়া যায় না বলে এই ফলকে আদিম যুগের মানুষরা পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিত এক সপ্তাহ ধরে। তারপর প্রতিদিন ভিজিয়ে রাখা ফলটির পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার করত। এই পরিষ্কার করার ফলে আস্তে আস্তে এই ফলের যত তিক্ততা স্বাদ ছিল তা বেরিয়ে যেত।
এবং সেই ফলকে রৌদ্রের শুকিয়ে গুড়ো করে কৌটাই রেখে দিত। যখন কারো জ্বর সর্দি হজমের সমস্যা ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যার মধ্যে পরিচিত তখন এই মেহগনি ফলের গোড়া গরম পানির সঙ্গে দুই চামচ মিশিয়ে খেয়ে নিতো এবং খুব দ্রুত রোগ থেকে মুক্তি পেত।মেহগনি ফলের বীজ এতটাই মারাত্মক যে এই ফলের কাছাকাছি
গেলে যাদের শরীরে এলার্জি ,ফুশ্রী, চুলকানি রয়েছে তা বেড়ে যেতে পারে। মেহগনি ফলের ভেতরে বিষাক্ত রাসায়নিক কিছু দ্রব্য রয়েছে যা অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেললে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। এই মেহগনি ফলের চেয়ে গাছের জনপ্রিয়তা বেশি কারণ এখন অনেকেই আছে যারা মেহগনি গাছের আসবাবপত্র বানাচ্ছে এবং বন জঙ্গল কেটে বন জঙ্গলকে ধ্বংস করে দিচ্ছি।
লেখক এর মন্তব্য
আমার মতে মেহগনি ফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী কিন্তু এটি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া ঠিক না। কারণ অতিরিক্ত খেলে এর থেকে মারাত্মক ক্ষতিও হতে পারে। আমার আর্টিকেলটি যদি আপনাদের পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url