ডরিয়ান ফল কোথায় পাওয়া যায় এবং খাওয়ার উপকারিতা

ডরিয়ান ফল কোথায় পাওয়া যায়। এবং এই ফল দেখতে কেমন। খেতে হয় কিভাবে, বা এর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য  জানতে চাইলে আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।

ডরিয়ান ফল কোথায় পাওয়া যায় এবং খাওয়ার কিছু নিয়ম সম্পর্কে নিচে কিছু পয়েন্ট লিখা আছে সেটি মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ থাকলো।

ভূমিকা

ডুরিয়ান ফল সবার কাছে খুব চেনা এটি ফল। ডুরিয়ান ফল কোথায় পাওয়া যায়? ডুরিয়ান ফলদক্ষিণ পূর্ব এশিয়া,থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, সিঙ্গাপুর এই দেশগুলোতে বেশ ভালো জন্মায় এবং অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। থাইল্যান্ড. ইন্দোনেশিয়া. মায়ানমার. সিঙ্গাপুর  দেশগুলো এই ফল আমদানি করে


ডরিয়ান ফল কোথায় পাওয়া?বাংলাদেশ.-ভারত. নেপাল. সুইডেন ইত্যাদি অনেক দেশে রপ্তানি করে থাকে। এই ফলটি স্বাদ-মিষ্টি এবং প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। এই ফলে এতই পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে যে এই ফলটি এখন সবাই খায়।

ডুরিয়ান ফল খাওয়ার উপকারিতা

ডরিয়ান ফল এর সুগন্ধ এবং মিষ্টি স্বাদের জন্য খুব বিখ্যাত। ডুরিয়ান ফলের সুগন্ধ এতটাই সুন্দর এবং এতটাই তীব্র এই ফলটি যখন পাখি তখন চারপাশ এই গন্ধেই মম করে। শুধু যে সুগন্ধ আর মিষ্টি স্বাদ রয়েছে এই ফলের মধ্যে তা কিন্তু নয়। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ,আরো রয়েছে কপার, আয়রন,পটাশিয়াম। 

কপার এটি আমাদের শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন যেটি রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। এবং শরীরকে সতেজ রাখে। ডরিয়ান ফল কোথায় পাওয়া? আইরন এটি আমাদের শরীরের লোহিত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের যদি লোহিত রক্তকণিকা না থাকে তাহলে শরীর  সাক্ষাতেদেখায়। এবং হঠাৎ হঠাৎ মাথা ঘুরে বমি বমি ভাব পাই।

ডুরিয়ান ফলে থাকা পটাশিয়াম যেটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।  ডরিয়ান ফল শরীরের হাড় এবং দাঁতের ক্যালসিয়াম বাড়াতে সাহায্য করে। ডরিয়ান ফল খেলে হাঁড়ির ব্যথা কমে যায়। কারণ যখন শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব থাকে তখনই আর ব্যথা করে। 

ডরিয়ান ফল কি এবং কোথায় জন্মায়?

ডরিয়ান এটি একটি ফল যেটি দেখতে প্রায়ই আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠালের মতো।কিন্তু আসলেই ঠিক কাঁঠাল নয় এটি ভিন্ন আরেক জাতের ফল। যেটি খেতে অনেক সুস্বাদু এবং এর সুবাস অনেক সুন্দর। এই ফলটি জন্মাই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, মালয়েশিয়া থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি কিছু দেশগুলোতে। 


ডরিয়ান ফল কোথায় পাওয়া? এই ফলটির স্বাদ এবং গন্ধ এতটাই সবার কাছে ভালো লেগেছে যে এটি চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই জন্য মালয়েশিয়ায়, ইংল্যান্ড ইন্দোনেশিয়া এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ,-ভারত, নেপাল, আমেরিকা ইত্যাদি দেশগুলোতে রপ্তানি করে থাকে।

ডরিয়ান কি বীজ থেকে জন্মায়

ডুরিয়ান গাছ কোন ফলের বীজ থেকে জয়েন মাইনা। এটির একটি অন্যরকম বৃক্ষ। এই বৃক্ষ অনেক বড় হয়ে থাকে এবং এর ফলগুলো অনেক বড় বড় আকারের হয়ে।  এই বৃক্ষের ফলটিকে ডুরিয়ান ফল হিসেবে গোটা বিশ্বের মানুষ চেনে।

দরিয়ান ফলে কত গ্রাম  শর্করা থাকে?

ডুরিয়ান ফলে শর্করার পরিমাণ প্রচুর থাকে কারণ ডুরিয়ান ফল প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি।ডরিয়ান ফল কোথায় পাওয়া ডরিয়ন ফলে এতটাই শর্করা থাকে যে এই ফল খেলে আমাদের শরীরের সরকারের চাহিদা মিটিয়ে দেই। ডরিয়ান ফলে প্রায়ই ১১.১৯ গ্রাম শর্করা রয়েছে এবং ভিটামিন সি ও প্রচুর পরিমাণ রয়েছে।

ডরিয়ান ফল খেলে কি ওজন বেড়ে যায়

ডুরিয়ান ফল খেলে ওজন বেড়ে যায় কারণ টুরিয়ান ফল প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি। যা শরীরের ফ্যাট বাড়াতে সাহায্য করে।  ডোরিয়ানের একটি ফলে প্রায় ১১৫ ক্যালোরি রয়েছে। এমনকি ডরিয়ান ফল পটিসিয়াম এ ভরপুর। আর এই পটাশিয়াম এবং ক্যালোরি আমাদের শরীরের চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে যা থেকে খুব দ্রুত ওজন বেড়ে যায়।

দরিয়ান দৈনিক কতটুকু খাওয়া যাবে

ডরিয়ান ফল কোথায় পাওয়া যায়?? ডুরিয়ান ফল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলে পরিমাণ পাওয়া যায়। এবং এই ফলটি চাহিদা দিন দিন প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছে। তাই অন্যান্য দেশেও এখন এটির চাষাবাদ বেড়ে গেছে। ডরিয়েন ফলের  সুগন্ধ এবং মিষ্টি স্বাদ সবার কাছে খুব পছন্দের। ফল খেতে প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি এই জন্য এটা নিয়ম করে খেতে হবে। 

না হলে অনেক সমস্যা হতে পারে যেমন ওজন বেড়ে যায়, অতিরিক্ত ক্যালোরি বেড়ে যাই যা শরীরের অন্যান্য ক্ষতি হতে পারে।  লরিয়াল ফল খুব বেশি হলে দৈনিক একটা করে খাওয়া নিরাপদ এর চেয়ে বেশি খেলে ক্ষতি হতে পারে। ডরিয়ান ফল এ রয়েছে শর্করা প্রোটিন তাই বলেছে এই ফল খেয়ে আমাদের শরীরের শর্করা এবং প্রোটিন বাড়িয়ে দিব তা কিন্তু করা যাবে না। অন্যান্য ফল শাক-সবজি এগুলো খেতে হবে।

ডরিয়ান ফল বেশি দিন ভালো রাখার উপায়

ডরিয়ান ফল কোথায় পাওয়া? ডুরিয়ান ফল এটি কি বেশি দিন ধরে সংরক্ষণ করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে যেটি ফলো করলে প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত ফলটিকে ভালো রাখা যায়। একটি লরিয়াল ফল কিনে নিয়ে আসার পর সেটিকে পরিষ্কার পানিতে  ধুতে হবে এবং সেটিকে পানি থেকে উঠিয়ে রেখে দিতে হবে কিছুক্ষণ। তারপর যখন পানি একটু ঝরে পড়ে যাবে। 

তখন ফলটি ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে হবে তাহলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। তাছাড়া আরও কিছু উপায় আছে যেমন পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে সেই পানিতে 10 থেকে 15 মিনিট ভিজিয়ে রেখে  দেওয়ার পর সেখান থেকে তুলে ঠান্ডা জায়গায় রেখে দিলে অনেক দিন ভালো থাকবে।এই ফল অতিরিক্ত তাপ সহ্য করতে পারে না। 

এই ফলটি সব সময়ই ঠান্ডা এবং সাঁতসিতে জায়গায় থাকলে বেশ কিছুদিন ভালো থাকে।

 ডরিয়ান ফল নষ্ট হতে কতদিন সময় লাগে?

ডরিয়ান ফল এর ওপরের চামড়া  বেশ শক্ত যার কারণে খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। তারপরও যদি সেটিকে পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে সেটিকে সেখান থেকে তুলে ঠান্ডা জায়গায় যেমন ঘরের মধ্যে রাখা যায় তাহলে বেশ কিছুদিন তাজা থাকে। তারপরও যদি ডিপ ফ্রিজে রাখা যায় তাহলে অনেকদিন ভালো থাকে। 

কিন্তু যদি সেটিকে তাপ জায়গায় রাখা যায় তাহলে খুব জোর এক থেকে দুই দিন ভালো থাকে। তারপর সেখানে ব্যাকটেরিয়া জন্মায় এবং সেটিকে নষ্ট করে ফেলে।

ডরিয়ান ফল খাওয়ার জন্য যে উপযুক্ত হয়েছে এটি কিভাবে বুঝব

ডরিয়ান ফল কোথায় পাওয়া? ডরিয়ান ফল কখন খাওয়ার  জন্য কখন উপযুক্ত হয়েছে এটি জানা সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তার সুগন্ধ। কারণ ডরিয়ান ফল যখন পেকে যায় তার ভেতর থেকে সুন্দর একটি মিষ্টি সুগন্ধ বেরিয়ে আসে। এবং কৃষকরা সেই সুগন্ধ পেয়ে বুঝতে পারি যে ডুরিয়ান ফল পেকে গেছে এবং শেষ সময় তারা গাছ থেকে ডরিয়েন্টাল সংগ্রহ করতে শুরু করে।

আবার অনেক কিছু করে আছে যারা ডুরিয়ান ফলের চামড়ায় একটু চাপ দিয়ে দেখিয়েছি ডরিমন ফলটির গা নরম হইছে কিনা। যদি নরম হয়ে যায় তাহলে সে ফলটি খাওয়ার উপযুক্ত হয়েছে সেটি তারা বুঝতে পারে এবং তখন থেকে ফলটি সংগ্রহ করা শুরু করে। ডরিয়েন ফল যখন পেকে যাই তার বীজগুলো ভেতরে নড়াচড়া শুরু করে।



আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল যে রকম পেকে গেলে তার শরীরের চামড়া টা নরম হয়ে আসে বা ফেটে যায় ঠিক ডরিয়ান ফলও তেমনি।

লেখক এর মন্তব্য

ডুরিয়ান ফল খেতে খুব সুস্বাদু এবং এই ফলটি প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল যা আমাদের শরীরে জন্য খুব উপকারী। আমার মতে ডুরিয়ান ফলটি সবার দৈনন্দিন খাবারের রুটিন নিয়ে রাখা উচিত। আমার আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তবে আপনাদের কাছের বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনের কাছে আমার আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url