ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চাইছেন কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন।  চিন্তার কারণ নেই আমি আপনাদেরকে আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রদান করব। 


ডুমুর খাওয়ার নিয়ম বা কিভাবে খেতে হয় বা এ পুষ্টিগুণ কি তা সম্পর্কে নিচে কিছু বিস্তারিত আলোচনা করা আছে সবাইকে মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা, ডুমরে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে এটা আমরা সবাই জানি। ডুমুর খেয়ে যে উপকার পাওয়া যায় সেগুলো হল, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ, হাড় মজবুত রাখে, অক্সিডেন্ট নিয়ন্ত্রণে রাখে ইত্যাদি। এছাড়াও ডোমোরে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার রয়েছে।  ডুমুরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকাই এটি হোজমে সাহায্য করে থাকে।

যাদের অতিরিক্ত হো জমে সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়ম মত ডুমুর খাবার খাই তাহলে তাদের হজম সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এমনকি যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারাও যদি ডুমুর রান্না করে খাই তো খুব দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত পাবে। ডোমোর ওজন কমাতেও সক্ষম। ডুমুরে ফাইবার প্রচুর পরিমাণ থাকাই  খুব কম পরিমাণ ক্ষুধা পাই।


এই জন্য ডাক্তাররা সাজেস্ট করে যারা ডেইলি জিম করে বা, ওজন কমাতে খুব পেরেশানি খাচ্ছেন তারা নিয়ম মত যদি ডুমুর খান তাহলে তাদের ওজন খুব দ্রুত কমবে। এছাড়াও এই ডুমুর রক্ত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যাদের অতিরিক্ত রক্তচাপ বেড়ে যায় বিভিন্ন খাবারের  মাধ্যমে। তারা নিয়মিত যদি ডুমুর খায় তাহলে তাদের রক্ত নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও আমাদের অনেকেরই অজানা যে ডুমুর খেলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকে, আবার ত্বকের যত্নে তেও ডুমুর প্রচুর পরিমাণ অবদান রাখে। মুড়ি যেহেতু ক্যালোরি কম থাকে এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে এজন্য ডায়াবেটিক্স হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের  যেহেতু অনেক খাবার খেতে পারে না 

ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ারযাদের অতিরিক্ত হো জমে সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়ম মত ডুমুর খাবার খাই তাহলে তাদের ভয়ে। তাই তারা যদি প্রতিদিন এই ডোমর খায় তাহলে তাদের অন্যান্য খাবারের ঘাটতি চাহিদাটা পূরণ করে দেয় এবং ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং শরীর সুস্থ রাখে।

ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা

ডুমুর অনেক  পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। এই ফলে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি ভিটামিন রয়েছে। এই ফল কাঁচাতেও খাওয়া যায় পাকাতেও খাওয়া যায় আবার এটিকে রান্না করেও খাওয়া যায়।  ডুমুর ফল কাঁচাতে খেতে একটু কষ যুক্ত স্বাদ থাকে। যাদের ডায়রিয়া হয়ে থাকে  এবং কোন ওষুধেই কাজ করে না। তারা যদি এই ডুমুরের কাঁচা ফল বেটি তার রস

খেয়ে ফেলে তাহলে তিন ঘন্টার মধ্যেই ডাইয়া ভালো হয়ে যায়। ডুমুর  যখন পেকে যায় এটি খেতে হালকা মিষ্টি শাক যুক্ত হয়ে থাকে। ডুমুর ফল পাকাতে খেলো প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায়। তবে ডোমর পাকাতে খেলে ডায়াবেটিক্স বা সুগার বেড়ে যায় না। কারণ ডুমুরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যার ডায়াবেটিস বা সুগার বারা থেকে রক্ষা করে।  

আবার ডুমুর রান্না করেও খাওয়া যায়। ডুমুর রান্না করে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। এবং যারা কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি ডোমর রান্না করে খান তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব দ্রুত আরাম পেয়ে যাবেন।এমনকি ডুমুর ফল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডুমুরের পাতাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। ডুমুরের পাতাতেও প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে।

ডুমুর, ই ডুমুর দুই রকম হয়ে থাকে। একটি দেশি এবং একটি বিদেশী, দেশসমূহুরের সাইজ খুবই ছোট হয়। এবং  এই ফল কাঁচাতে খেতে অনেক কোষ যুক্ত হয়ে থাকে। পাকাতে খেতে হালকা হয়। এবং রান্না করে খেতে সেই সুস্বাদু। আর বিদেশি ডুমুর সাইজ অনেক বড় হয়ে থাকে এবং এটির গায়ের রং একটু ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এটিও খেতে মিষ্টি।


এবং এটি রান্না করেও খাওয়া যায়। বিভিন্ন বড় বড় রেস্টুরেন্টে এখন ডুমুরের চাহিদা প্রচুর পরিমাণ বেড়ে গেছে। খুবই সুস্বাদু।, ডুমুরে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে, আরও রয়েছে ভিটামিন,  মিনারেল, ফাইবার, প্রোটিন, ইত্যাদি এছাড়াও এই ফল শরীরের অনেক উপকার করে থাকে, যেমন রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা নিয়ন্ত্র, হাড় মজবুত করে, ডায়াবেটিস  নিয়ন্ত্রণে রাখে,

হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে ইত্যাদি। দেশী  ডুমুরের গাছ থেকে শুধু যে ডুমুর ফল খাওয়া যেই তা কিন্তু নয় এই গাছের পাতা সাগ হিসেবেও খাওয়া হয়। এতেও প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। 

শুকনো ডুমুর খাওয়ার অপকারিতা

ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা, আমরা জানি ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে  পুষ্টিগুণ রয়েছে। ডুমুরে যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে ঠিক তেমন ডুমুর ক্ষতিকারক দিক রয়েছে।  ডুমুর অনেক ভাবে খাওয়া যায় তার  মধ্যে কয়েকটি হল কাঁচা ভাবে খাওয়া যায়, পাকা ভাবে খাওয়া যায়, রান্না করে, এবং ডোমোর রোদ্রে শুকিয়ে সেটি কি গুঁড়ো করে বক্সে সংরক্ষণ করেও খাওয়া যায়।

ডুমুর এমন একটি খাবার যেটির উপকারিতা রয়েছে এবং অপকারী দিকো রয়েছে তবে, সবচাইতে ক্ষতিকারক দিক হচ্ছে শুকনো ডুমুর খাওয়া। শুকনো লোমর খেলে অনেক রকম ক্ষতি হতে পারে তার মধ্যে কিছু উদাহরণ হিসেবে নিচে দেওয়া আছে, পাকস্থলী ভারী হয়ে যায়  এবং ফুলে যায়, লিভারের সমস্যা হয়, ডায়রিয়া,  এলার্জি, অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস, কিডনির সমস্যা,

রক্তে শর্করা কমে যাওয়া, দাঁতের সমস্যা ইত্যাদি। কাঁচা ডুমুর যখন রোদ্রে শুকিয়ে তার গুড়ো করা হয় তখন এই ডুমুরের মধ্যে কিছু  পুষ্টিগুণের পরিবর্তন ঘটে। যেমন শর্করার মান বেড়ে যায়। যাদের ডায়াবেটিস   রয়েছে তাদের এই শুকনো ডুমুর খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হবে। কারণ শুকনো অবস্থায় প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি বেড়ে যায় ডায়াবেটিক্স বাড়ি।

যাদের সুগার প্রচুর পরিমাণে কম থেকে থেকেই সুগার মিল হয়ে যায় তাদের ক্ষেত্রে এই শুকনো ডোমর খেলে সুগারের পরিমাণটা ঠিক থাকবে। শুকনো ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার  থাকাই এটি শরীরে ভালোভাবে এডজাস্ট করতে পারে না যার ফলে হজম হতে প্রজর পরিমাণ সময় নেই এবং তা থেকে গ্যাস এ সৃষ্টি হয়। আবারো আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের

শরীরে প্রচুর পরিমাণে চুলকানি জাতীয় এলার্জি রয়েছে। তো তাদেরকে সাবধান থাকতে হবে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা এই খাবার থেকে যেন বিরত থাকে কারণ ডোমারে প্রচুর পরিমাণ এলার্জি রয়েছে। শুকনো ডুমুরের দাঁতের জন্য প্রচুর পরিমাণ  ক্ষতিকারক। কারণ শুকনো ডুমুরে প্রাকৃতিক ভাবেই চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

কাঁচা ডুমুরের উপকারিতা

ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা, কাঁচা টুমোর চুল ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। কাঁচা ডুমুর খেলে ত্বক সুন্দর থাকে। আর কাঁচা ডুমুর যদি বেটে এর রস চুলে লাগানো হয় তাহলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল পড়া কমে যায়। এছাড়াও কাঁচা ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ এবং উপকারীর দিক যেমন, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে,

রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে  রাখে, হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়,ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করি, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি,হাড়ের স্বাস্থ্যের ভালো রাখে,।  কাঁচা ডোমোর আমাদের শরীরের জন্য উপকারী তবে দেশি কাচা ডোমোর বা সবুজ রঙের ডুমুর সবচাইতে বেশি উপকারী এবং এই ডুমুরে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে।

এবং কাঁচা ডুমুরে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে যার রক্ত তৈরি করতে সক্ষম। তাই কাঁচা ডোমর খেলে রক্ত বৃদ্ধি পায় এবং রক্তের ঘাটতি কমায়। কাঁচা ডুমুরে যেহেতু ক্যালোরি কম থাকে এজন্য এ ডুমুর ওজন কমাতেও প্রচুর পরিমাণে সাহায্য করে থাকে।

ডুমুর খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কারণ। ডুমুর প্রায়  সব ধরনেরই পুষ্টিগুণ রয়েছে যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতে সাহায্য করে। ডুমুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সারের জনিত রোগ কে নষ্ট করতে সাহায্য করে।

শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম

শুকনো ডুমুর খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে তারা গিয়ে চিনে নেওয়া ভালো ডুমুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। ডুমুরে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে যেমন ভিটামিনের মধ্যে বলা যায় ম্যাঙ্গানিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এছাড়াও খনিজ পদার্থ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। শুকনো ভোমর খাওয়ার নিয়ম হলো পানিতে বা দুধের সঙ্গে ভিজিয়ে খাওয়া যাবে,

ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা, শুকনো ডুমুরের গুঁড়া দুধ বা পানির মধ্যে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে তারপরে খাওয়া যেতে পারে ।তারপরও যদি সকাল বেলা খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে ডুমুরের গুড়া মিশিয়ে পান করা যায় সবচাইতে বেশি উপকার সেটাতেই পাওয়া যায়।ডুমুরের গোড়ায় ভিটামিন রয়েছে বলে যে এটিকে অনিয়মিত ভাবে খাবো বা প্রচুর পরিমাণে খেয়ে ফেলবো তা করা যাবে না।


যদি এমন করা হয় তাহলে শরীরের বিভিন্ন রকম ক্ষতি হতে পারে। এই ডুমুরের গোড়া খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট মাপ রয়েছে। যেমন এক কাপ পানিতে এক থেকে দুই টেবিল চামচ পরিমাণ ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে হবে। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা ডোমোর থেকে সাবধান। কারণ  ডুমুরের গোড়ায় প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে যার ডায়াবেটিকসের জন্য প্রচুর ক্ষতিকারক।

তাই ডুমুরের গোড়া ডায়াবেটিসের রোগীর না খাওয়াই ভালো। এছাড়াও যাদের বিভিন্ন রোগ যেমন কিডনি সমস্যা রয়েছে তাদের এগুলা না খাওয়া ভালো কারণ এগুলাই বিভিন্ন রকম সার্টিফিকেট রয়েছে যা মারাত্মক জিকির কারণ।

কোন ডুমুর খাওয়া যায় না

ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা,ডুমুরের বিভিন্ন চাপ রয়েছে, তবে বেশিরভাগ প্রমূরি খাওয়া যায় এবং প্রচুর  পুষ্টিগুণ রয়েছে।এর ডুমুর খাওয়ার নিয়ম অতিরিক্ত ছোট ডুমুর খাওয়া যাবেনা বা অতিরিক্ত বড় হয়ে যায় ওইরকম ডুমুর খাওয়া যাবেনা।

এখন ডুমুরের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায় অনেক মানুষ আছে যারা ডুমুরের চাষ শুরু করেছে। এবং নানান ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করছে। এই কীটনাশক ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন ক্ষতি হচ্ছে। তাই কীটনাশক যুক্ত ডুমুর খাওয়া যাবেনা।

লেখক এর মন্তব্য

আমার মতে ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা দিক দিয়ে অনেক বেশি রয়েছে। আর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ডুমুর দৈনন্দিন রুটিনের রাখা দরকার কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা  অন্যান্য পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে। এছাড়াও ডুমুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই সক্ষম আমার আর্টিকেলটি যদি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগে তো অবশ্যই আপনাদের কাছের বন্ধু বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে শেয়ার করে দেবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url