কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার কিছু টিপস

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা  ত্বক নিয়ে সমস্যায় আছেন। অনেক জায়গায় হয়তো তাকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি বা ত্বক কিভাবে ভালো থাকবে এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোথাও পায়নি। চিন্তার কারণ নেই আমি  আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য প্রদান করব।


কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার কিছু পয়েন্ট সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা। সে মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো। আশা করি সঠিক তথ্য এখানেই পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা,আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কলার্স খোসার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন না। বা এটি ব্যবহার করা সঠিক নিয়ম জানেন না। তবে আপনাদেরকে বলে রাখি কলার খোসা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের ত্বকে সুন্দর ও মসৃণ নরম রাখতে সাহায্য করে এই কলার খোসা। এছাড়াও কলার খোসাতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে।

আরো পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের একটিভ স্ট্যাটাস অফ করতে হয় কিভাবে

যা আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে। কলার খোসা হচ্ছে প্রাকৃতিক একটি উপাদান আমাদের ত্বকের জন্য। কলার খসড়া বিভিন্ন উপকারের লাগে। কলার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ রয়েছে যা আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে। এছাড়াও কলার খোসা ব্রনের দাগ, দূর করে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করে, ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করে,

এবং ত্বক মসৃণ ও সফট রাখতে সাহায্য, ইত্যাদি।যাদের আস্তে আস্তে বয়স বাড়ছে তাদের চেহারাই বিভিন্ন ব্রণ এবং ত্বকের চামড়া কুঁচকে যাওয়া, চোখের নিচে ডার্ক স্যারকেল তৈরি হওয়া, এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেই তারা যদি এই কলার খোসার ফেসপ্যাক বানিয়ে তোকে ব্যবহার করে তাহলে আস্তে আস্তে চোখের নিচে সার্কেল এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাবে।

কলার খোসার উপকারিতা

কলার খোসা থেকে আমরা বিভিন্ন উপকার পেয়ে থাকি।কলের খোসা আমাদের ত্বকের খসখুসে ভাব এবং আমাদের ত্বকের মরা চামড়া এগুলো উঠিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এবং ত্বকে মসৃণ এবং মূল্যায়ন রাখতে সাহায্য। তাই বেশি বেশি কলার খোসার ভেতরে সাদা অংশটি আমাদের মুখে ব্যবহার করতে হবে।

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

কলার খোসা একটি প্রাকৃতিক উপাদান জিটিএ আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকে ভালো ও সতেজ রাখতে সাহায্য। খোলার খোসা  ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। ব্রনের দাগ দূর করে, ত্বক ফর্সা করে, চোখের কালো দাগ দূর করে, ব্রণ আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলে, ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে আর সেই এই কলার খোসা।

এটি ব্যবহার করার কিছু নিয়ম রয়েছে যেমন, একটি কলা খাওয়ার পর আমরা অনেকেই কলার খোসাটা ফেলে দেই। তবে আজকের পর থেকে এটি আর করবেন না। কারণ আপনারা জানেন না গলার খোসা ঠিক কতটা ত্বকের জন্য উপকারী। আমি আপনাদেরকে জানাবো কলার খোসা দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করা যায়।

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা,কলা খাওয়া হয়ে গেলে গলার খোসা ভেতরের অংশটুকু দিয়ে তোকে সঙ্গে পাঁচ থেকে সাত মিনিট ঘষে ঘষে করার ভেতরের সাদা অংশটি মুখে মাখতে হবে। তারপর সেটি দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে দিতে হবে।তবে মনে রাখতে হবে ঠান্ডা জায়গায় থাকতে হবে।সূর্যের তাপে নিচে যাওয়া হবে না কারণ সূর্যের তাপে নিচে গেলে হয়তো ত্বকের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।

তারপর সেটি পানি দিয়ে তবে পানি কি ঠান্ডা হতে হবে, ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলে দিতে হবে।  এভাবে যদি এক থেকে দুই মাস মুখে ব্যবহার করা হয় তাহলে ব্রণের দাগ দূর হবে ফর্সা হবে ব্রণ আস্তে আস্তে কমে যাবে, এবং চোখের নিচে সার্কেল কমিয়ে ফেলবে। 

 কলার খোসা দিয়ে ব্রনের দাগ দূর

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা,কালার খুসা মুখে মাখলে খুব দ্রুত ব্রণের দাগ এবং ব্রণ দুটোই ভালো। গলার ঘোষণায় ব্যবহার করার কিছু নিয়ম। প্রথমে একটি পাকা কলা নিতে হবে সে কলাটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুতে হবে। কলাটি ধোয়া শেষ হয়ে গেলে সেটি ভালো কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিতে। তারপর গ কলারটি আলাদা ওরে রেখে দিতে হবে।


এরপর কলার খোসা টির ভেতরের সাদা অংশটুকু  ছুরি বা চামচের সাহায্যে আলতো করে তুলে একটি বাটির মধ্যে জমা করতে হবে। এভাবেই যখন পুরো কলার খোসার ভেতরে সাদা অংশটুকু তুলে বাটিতে জমা করা হয়ে যাবে তখন সেখানে এক চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে সেটির পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবং সে পেজটি তৈরি করা হয়ে গেলে সেটি রেখে দিতে হবে।

এরপর আমাদের ত্বকটি ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।এবং টিসু দিয়ে সুন্দর করে মুখটি মুছে নিতে হবে। তারপর গলার খোসার পেজটি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে ১০ থেকে ২০ মিনিট মতো। এরপর যখন দেখবে  যে লাগিয়ে রাখা ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে গেছে তবে মনে রাখতে হবে সম্পূর্ণ শুকিয়ে ফেলা যাবে না

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা, হালকা ভেজা অবস্থায় থাকবে তখন পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখটি ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তবে মুখ ধোয়ার সময় হালকা ম্যাসাজ করে করে ধুয়ে ফেলতে হবে। ধুয়ে ফেলার পর দেখবেন আপনার ফেসের অনেক পরিবর্তন চলে এসেছে।

যদি এইভাবে এক থেকে দুই মাস টানা কলার খোসা মুখে লাগানো হয় তাহলে খুব দ্রুত চোখের নিচেডার্ক সার্কেল, ব্রনের দাগ, ইত্যাদি এগুলো কমতে শুরু করেছে এবং এক পর্যায়ে এগুলো আর কখনোই ফেসের ওপর প্রভাব ফেলতে পারবেনা। 

কলার খোসার ব্যবহার

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা, আমরা অনেকেই আছি যারা জানিনা গলার খোসা অনেক ভাবে ব্যবহার করা হয়। গলার খোসার ব্যবহার এখন ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে গেছে। কারণ খোলার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সাইড শর্করা ইত্যাদি রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও কলার খোসা সার তৈরিতে খুব অবদান রাখে।

দাঁতের যত্ন করে, কলার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি রয়েছেg  একটি সারের মধ্যে যদি এই উপাদান গুলো থাকে তাহলে এই সারটির খুব উপকারী একটি সার হিসেবে গণ্য করা হবে। এই স্যার যদি কোন গাছে ব্যবহার করা হয় সে গাছে খুব দ্রুত ফল আসবে এবং গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি ও পাবে।

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা, আমাদের দাঁতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তার মধ্যে একটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদেরকে সবচাইতে বেশি। সেটি হল দাদ হলুদ হয়ে যাওয়া। আমরা যখন তেল চর্বি জাতীয় কোন খাবার খায় তখন আমাদের দাঁত খুব দ্রুত হলুদ হয়ে যায়। তখন যদি গলার খোসা দিয়ে পরিষ্কার করা হয় তাহলে খুব দ্রুত সাদা হয়ে যায়।

রান্নার কাজে ব্যবহার করা। কলার ঘোষের ভাজা তৈরি করা সম্ভব। আমরা অনেকেই আলুর ভাজা খেয়েছি তেমন আলুর ভাজা যখন তৈরি করে তখন আলু টিকে খুব চিকন করে কেটে টুকরো টুকরো করে সেটিকে ভাজি  বানাই। তেমনি এই কলার খোসা যদি কেটে টুকরো টুকরো করে ভাজা করা হয় তাহলে খুব খেতে সুস্বাদু হয় এবং খুব ভিটামিন যুক্ত হয়ে।


লেখকের মন্তব্য

কলার খোসা মুখে ব্যবহার করলে বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়। তাই আমাদের গলার খোসা শীতকালে এবং গ্রীষ্মকালের সবসময়ই ব্যবহার করা খুবই দরকার। তাহলে মুখের চামড়া কুঁচকে যাবে না, ডার্ক সার্কেল আসবে না, ব্রণ আসবেনা। আমার আজকের টিপ যদি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তো অবশ্যই আপনার কাছে বন্ধু-বান্ধবদেরকে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url