আলু এবং বেসন দিয়ে রূপচর্চা ,আপনাদের মাঝে অনেকে আছেন যারা ত্বকের সমস্যাই ভুগছেন, তাদের জন্য একটি সুখবর, আমি আপনাদেরকে এমন কিছু টিপস জানাবো যে ত্বকের সমস্যা একেবারে দূর হয়ে যাবে। আলু এবং বেসন দিয়ে রূপচর্চা করে আপনাদের ত্বকে সকল ধরনের সমস্যা দূর করতে পারবেন।
আলু এবং বেসন দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করবেন তা সম্পর্কে নিচে কিছু পয়েন্ট আকারে আলোচনা করা আছে। সবাইকে মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ভূমিকা
আপনারা হয়তো আলু এবং বেসন দিয়ে রূপচর্চা করা কথা আগে কখনোই কল্পনা করেননি। কিন্তু আলু এবং বেসন আমাদের ত্বকের জন্য যে কতটা উপকারী তা আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো। আলু আমাদের ত্বকের অনেক উপকার করে তাদের মধ্যে কিছু উপকারী গুণগুলো হলো,
আলুর রস যদি মুখে মাখা হয় তাহলে খুব দ্রুত মুখের কালো দাগ বা বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান দিতে পারেন।আলু আমাদের ত্বকের জন্য ভালো কারণ আলুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যা ত্বকে সতেজ এবং মলিন রাখতে। এছাড়াও এই আলু দিয়েই যে শুধু রূপচর্চা করা যায় তা কিন্তু নয়। আলোর সঙ্গে আরো বেশ কিছু উপাদান মিশিয়েও ফেসপ্যাক বা ফেস মার্কস তৈরি করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: চন্দন মাটির ফেসপ্যাক সম্পর্কে ১০ টি টিপস জানুন
যেটি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আলু যেহেতু প্রাকৃতিক একটি উপাদান তাই এর দ্বারা ক্ষতিটা খুব কমই হয়ে থাকে। তবে যদি আমরা অতিরিক্ত মাত্রায় আলু তোকে লাগাই তাহলে বিভিন্ন রকম সমস্যাও দেখা দিতে। এবার আসি বেসনের পালাই বেসন আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। বেসন এটি কি সর্বপ্রথমে আমাদেরকে এটি জানতে হবে।
বেসন মূলত ভুট্টার আটা। ভুট্টার আটা কে বেসন বলে পরিচিত করন করা করা হয়েছে।এই বেসনের আটা দিয়ে বিভিন্নভাবে রূপচর্চা করা। ভীষণের আটা সঙ্গে অনেক কিছু মিশিয়ে একটি ফেস মাছ বা ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় তাই এই আলু এবং বেসন দুটি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
আলু দিয়ে রূপচর্চা করার উপকারিতা
আলু এবং বেসন দিয়ে রূপচর্চা, আলু আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।এছাড়াও আলু একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি। তাই এটির ফেসপ্যাক বা ফেইস মার্কস বানিয়ে যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে কোন সমস্যা হয় না।এছাড়াও আলুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যেটি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী
এছাড়াও আলু যদি আমরা ত্বকে ব্যবহার করি তাহলে আমাদের তখন নরম সফট এবং ত্বকে থাকা বিভিন্ন কালো দাগ, ব্রণ, ব্রনের দাগ ইত্যাদি সকল ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। আলুর ফেসমাক্স বা ফেসিয়াল বানানোর নিয়ম। প্রথমে একটি আলো ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
এরপর সে আলুটিকে গ্রেটারের সাহায্যে বা শীল পাটার সাহায্যে গ্রেট করে নিতে হবে। গ্রেড করা হয়ে গেলে সে আলু ছাঁকনি বা কোন ন্যাকড়া সাহায্যে ছেকে নিতে। এবং ছেকে নেওয়ার পর সে আলুর রসটিকে আলাদা পাত্রে রেখে দিতে হবে। এরপর আমরা যদি চাই তাহলে এই আলুর রস শুধুই ফেস এপ্লাই করতে পারি।
এতেও প্রচুর পরিমাণ উপকার পাওয়া। কিন্তু আমাদের মাঝে এখন অনেকেই আছেন যারা ফেসিয়াল সম্পর্কে অনেক কেয়ারফুল তাই তাদের জন্য যদি এই আলুর রসের সঙ্গে বেসনের আটা এক চামচ পরিমাণ এক চামচ পরিমাণ মধু ত্বকে লাগানো হয় তাহলে খুব দ্রুত কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। বা বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে।
শুধু যে বেসন আর আলুর ফেসিয়াল বানানো যায় তা কিন্তু নয় আলুর রসের সঙ্গে এখন অনেক কিছুই ব্যবহার করা যায় যেমন টমেটো, কফি,, বেসন, চালের আটা, গোলাপজ, ইত্যাদি। এসব দিয়ে যদি ফ্রেশিয়াল করা যায় বা রেগুলার ব্যবহার করা যায় তাহলে খুব দ্রুত ফর্সা হয়ে।
বেসন দিয়ে রূপচর্চা করার উপকারিতা
আলু এবং বেসন দিয়ে রূপচর্চা, বেসনের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই এখনো অজানা চলুন আজকে বেসনের উপকারিতা সম্পর্কে জানি, ব্যাসন কিভাবে আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে তা সম্পর্কেও জানবো আজকে।বেসন এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এটি যেহেতু প্রাকৃতিক উপাদান তাই এটিতে কোন প্রকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বরং এটি ত্বকের বিভিন্ন উপকারে আসে যেমন, ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে, ত্বকের খসখসে, ত্বকের ব্রণ বা ব্রণের দাগ ভালো করে,এবং খুব দ্রুত ফর্সা করে দেয়,ইত্যাদ। বেসন কোথা থেকে আসে আর এটি কি?এটি নিয়ে সবার মনে বিভিন্ন জানার কৌতূহল থাকতে পারে। যে বেসন কি বা কোথা থেকে এটি এসেছে বা এটি কিভাবে তৈরি।
বেসন মূলত ভুট্টা থেকে পাওয়া যায়। ভুট্টা এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যেটি আমাদের কৃষকরা এখন ব্যাপক পরিমাণে চাষ করে থাকে। এই ভুট্টা চাষ করার পর সেটি যখন আস্তে আস্তে বড় হয় এবং সেটি যখন পরিপূর্ণ একটি আকার ধারণ করে তখন এই ভুট্টা বাসায় নিয়ে এসে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়।
এরপর ভুট্টা গুলো জড়িয়ে নেওয়া হয়। তারপর সেটিকে রৌদ্রে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হয়। তারপর সেটিকে মেশিনে বা যাতাই বিষে আটাতে রুপান্তর করতে। আর এই আটা কি আমরা বলে থাকি বেসনের আটা।
আলু এবং বেসন দিয়ে ফেসিয়াল
আলু এবং বেসন দিয়ে ফেসিয়াল।আলু এবং বেসনের ফেসপ্যাক এটি বানানো খুবই সহজ। আলু এবং বেসন দিয়েই যে শুধু আমরা ফেসপ্যাক বানাতে পারি তা কিন্তু নয় আলোর সঙ্গে এবং ব্যাসনের সঙ্গে অনেক রকম জিনিস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। যে আমাদের জন্য খুবই উপকারী। এবং স্বাস্থ্যকর।
এছাড়াও অনেকে ভাবতে পারেন যে আলু এবং বেসন দিয়ে আবার কিভাবে ফেসপ্যাক বানানো যায় বা এটি আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী কিনা বা ত্বকের কোন ক্ষতি করবে কিনা। তাদেরকে বলে রাখি আলো এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যেটি আমাদের ত্বকের ব্রণের দাগ বা বিভিন্ন দাগ থাকে সে দাগগুলোকে কমাতে করে।
এবং বেসন বেসন হচ্ছে এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যেটির মধ্যে কোন ভেজাল নেই। এটি ভেজাল ছাড়া উপাদান বলে এই উপাদান দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক বানাতে পারি। এবং এই বেসন আমাদের ত্বকের জন্য এতটাই উপকারী চেয়ে আমাদের ত্বকের সকল ময়লা খুব সহজেই দূর করে দেয়। বেসন এবং আলুর ফেসপ্যাক তৈরি,
প্রথমে একটি আলু নিতে হবে, এবং সেটিকে ভালো করে পরিষ্কার পানিতে পরিষ্কার করে থুয়ে নিতে। তারপর এই আলু গ্রেটার বা কোনো বাটনি সাহায্যে খাতা করে নিতে হবে। ঠ্যাটা করা হয়ে গেলে সেটি একটি পাত্রে তুলে নিতে। এবং ছাকনি বা কোন নেতা সাহায্যে সেই আলো থেকে রস বের করে নিতে হবে।
এবং সেই রসগুলোকে একটি আনা দেয়া পরিষ্কার পাত্রে রাখতে হবে। এরপর বেসনের আটা এক চামচ পরিমাণ সে রসের মধ্যে মিশাতে হবে। মেশানোর পর সেটিকে ভালোভাবে ফাটাতে হবে। ফেটানো হয়ে গেলে আমাদের ত্বকে সেটি লাগিয়ে 10 থেকে 20 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে যে এটি যেন বেশি পরিমাণ শুকিয়ে না যায়। ফেটে যেতে পারে যেটি ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই হালকা শুকিয়ে গেলে আলতো করে দুই হাত দিয়ে মাসাজ করার মত করে সেটিকে আস্তে আস্তে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
আলু এবং বেসন দিয়ে রূপচর্চা করলে কি ফর্সা হয়
আলু এবং বেসন দিয়ে রূপচর্চা করলে কি ফর্সা হয়।হ্যাঁ আলু এবং বেসনের দিয়ে রূপচর্চা করলে ফর্সা হওয়ার। কারণ আলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যেটি ত্বকের জন্য। এবং আলুর রস যদি মুখে দেওয়া হয় তাহলে মুখের কালো কালো দাগ বা চোখের নিচে ডার্ক সাইকেল খুব সহজে উঠিয়ে ফেলে দিয়ে ফর্সা করে দেয়।
আর বেসন দিয়ে রূপচর্চা করলেও ফর্সা। কার বেসনে ক্ষুদ্র দানা দানা মত দানা থাকে সেই দানাগুলো যখন ত্বকে লাগিয়ে ত্বকে হালকা দলাম দেওয়া হয় তখন ভেতর থেকে ময়লা বেরিয়ে আসে। এর ফলে আমাদের ত্বক খুব দ্রুত সুন্দর ফর্সা।
আলু এবং টমেটোর ফেসপ্যাক
আলু এবং বেসন দিয়ে রূপচর্চা, আলু এবং টমেটো দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য কিছু কিছু উপকরণ দরকার সেগুলো হচ্ছে ।প্রথমে একটি বড় সাইজের আলো নিতে হবে। তারপর আলু টিকে গ্রেটারের সাহায্যে গ্রেট করে নিতে হবে। গ্রেট করা হয়ে গেলে একটি ছাঁকনির সাহায্যে আলু গ্রেট থেকে রস আলাদা করে নিতে হবে। এরপর এটি টমেটো নিতে হবে
এই টমেটো সুন্দর করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর টমেটোটি পাতলা সাইজ করে কেটে নিতে হবে। কাটা হয়ে গেলে সেই টমেটো টুকরো টুকরো একটি বাট নিয়ে বা পিসানি সাহায্যে সেটিকে ভালোভাবে থেতলে নিতে হবে। থেতলানো হয়ে গেলে সে রসটুকু ছাকনিস থেকে আলাদা একটি পাত্রে নিতে।
তুই রস যখন আলাদা আলাদা পাত্রে নেওয়া হয়ে যাবে ঠিক তখন আরও একটি পাত্র নিয়ে সেই পাত্রে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ টমেটো রস এবং এক টেবিল চামচ পরিমাণ আলুর রস মিশিয়ে দিতে হবে। এবং তার সঙ্গে মেশাতে হবে দুই টেবিল চামচ পরিমাণ বেসনের আটা।
এই তিনটি উপকরণ ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে। সেগুলোকে একসঙ্গে ভালো করে ফাটিয়ে নিতে হবে। এভাবেই আলো এবং টমেটো দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা হয়।
আলু এবং লেবুর দিয়ে রূপচর্চা
আলু এবং বেসন দিয়ে রূপচর্চা, আলু এবং লেবু দিয়ে যেভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় তা হল। প্রথমে একটি আলু নিতে হবে এবং সে আলুটিকে পাটায় বেটে নিতে হবে। এরপর পা টাইপ বেটে নেওয়া হয়ে গেলে সে আলুর বাটা থেকে রস আলাদা করে নিতে হবে।
আলাদা করা হয়ে গেলে এটি একটি ভালো পরিষ্কার বাটিতে রেখে দিতে হবে। এবার লেবুর রস, একটি বড় সাইজের লেবু নিতে হবে এবং লেবুটিভ পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে। পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নেওয়া হয়ে গেলে সে লেবুটি কয়েক টুকরোই কেটে নিতে হবে। কাটা হয়ে গেলে লেবুর রস আলাদা কি পাত্রে নিংড়ে নিতে হবে।
নিংড়ে নেওয়া হয়ে গেলে লেবুর রস এবং আলুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। মেশানো হয়ে গেলে সেখানে এক টেবিল চামচ পরিমাণ চালের গুড়া মেশাতে। মিশিয়ে ভালোভাবে পেটাতে হবে। ফাটানো হয়ে গেলে দেখবেন একটি ফেসপ্যাক তৈরি হয়ে গেছে
লেখকের মন্তব্য
আমার মতে আলু এবং বেসন দিয়ে রূপচর্চা করলে আমাদের ত্বকের অনেক উপকার হবে।কারন আলু এবং বেসন দুটি প্রাকৃতিক এটি উপাদান। তাই এটির কোন ক্ষতিকারক দিক নেই। তবে প্রতিটি জিনিসেরই একটি বিপরীত দিক রয়েছে। তাই আলু এবং বেসনের ফেসপ্যাক নিয়মমাফিক ব্যবহার করতে হবে তা না হলে ত্বকের ক্ষতিও হতে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আপনাদের কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তো অবশ্যই আপনাদের কাছের বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url