অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে আপনাদের মাঝে অনেকেই সঠিক তথ্য অনিক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। চিন্তার কারণ নেই আজকে আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য জানাবো। সঠিক তথ্য জানার জন্য আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
এলোভেরা কি কি কাজে ব্যবহার করা হয় এ সম্পর্কে নিচে কিছু পয়েন্ট আকারে আলোচনা করা হয়েছে। সবাইকে মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ভূমিকা
অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা,অ্যালোভেরা গাছটি মিশরে সর্বপ্রথম পাওয়া গেছে। তবে এটি প্রায়ই ৬০০০ বছর আগে সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়াও এই গাছ আফ্রিকার মরু অঞ্চলে পাওয়া যায়। মিশরের মানুষ আগে এই অ্যালোভেরার গাছ দিয়ে ঔষধ তৈরি করতো। অ্যালোভেরা গাছটি বিশেষ করে মরু অঞ্চলে বেশি জন্মায়। বেশি বলতে এটি মুড়ো অঞ্চলে জন্মাতে বেশি পছন্দ করে।
আরো পড়ুন:ব্রণ এবং ব্রনের দাগ ভালো করতে কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক
অ্যালোভেরা ঠান্ডা শীতল সাতসীতে ভিজা জায়গার থেকে কাঠফাটা রোড অতিরিক্ত গরম বালি বালি জায়গায় জন্মাতে বেশি পছন্দ করে। এবং এই জায়গায় জন্মালে এলোভেরার শরীর স্বাস্থ্য অনেক মোটা তাজা হয়। আমাদের মাঝে অনেকে আছে এখন বাংলাদেশে অ্যালোভেরার চাষ করছে।
তবে অ্যালোভেরা চাষ করার আগে তাদের জেনে নেওয়া ভালো যে এলোভেরা ভেজা ঠান্ডা সাথে জায়গায় জন্মাতে পারেনা। যদিও বা জন্মাই সেই গাছ সঠিক হয় না। খুব অল্প সময়েই মধ্যেই মারা যায়।
অ্যালোভেরার উপকারিতা
অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা,অ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণ উপকারী গুণ রয়েছে।অ্যালোভেরা আমাদের স্বাস্থ্য এবং ত্বক দুটোরই জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি, রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি, এটি ত্বকের যত্নে ব্যবহার, স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করে, চুলের চুলে ব্যবহার করা হয়, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে এলোভেরা ব্যবহার করা হয়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এলোভেরার ব্যবহার রয়েছে,এছাড়াও এই অ্যালোভেরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে ইত্যাদি। এলোভেরা এমন একটি উপাদান যেটি প্রায় সকল কাজে ব্যবহার করা হয়। আদিম যুগের মানুষ এই অ্যালোভেরা সঙ্গে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে ওষুধ তৈরি করতেন। আদিম যুগের মানুষদের কাছে
সেরকম চিকিৎসা বা সেরকম ডাক্তার বা হসপিটাল ছিল না তাই তারা বিভিন্ন ঔষধি গাছ দিয়ে ঔষধ বানিয়ে কাজ চালাতেন। তার মধ্যে এলোভেরা একটি অন্যতম। যাদের চুল পড়ে যায় বা দাড়ি গজায় না তারা যদি এই এলোভেরা নিয়মিত চুলে বা দাঁড়ি এতে লাগাইতে হলে খুব দ্রুত চুল বাধারী গজাতে শুরু করে।
এছাড়াও এলোভেরা দিয়ে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। যাতে শরীরে ক্যালসিয়ামের শর্ট রয়েছে বা ক্যালসিয়ামের প্রচুর পরিমাণে ঘাটতি রয়েছে, তারা এলোভেরা খেয়ে তাদের শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করতে পারে। যাদের ওষুধ খেয়ে কোন কাজ হয় না তারা এই এলোভেরা খেয়ে শরীরের হাড্ডিতে ক্যালসিয়াম তৈরি করতে পারে।
অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা
এলোভেরা এমন একটিউপাদান যেটি আমাদের চুল, স্বাস্থ্য, ত্বক, সবকিছুকেই খুব যত্নে রাখে। আমাদের কাছে এলোভেরা এখন এতটাই পরিচিত যে এটির বর্ণনা আলাদাভাবে কাউকে দিতে হবে না। তবে অনেকেই আছে যারা এখনো এলোভেরা কে ঠিকমতো চেনেন না বা একে ব্যবহার সম্পর্কে জানে না।
তো চলুন আজকে সবাইকে জানাই এ্যালোভেরা সম্পর্কে। এলোভেরা একটি গাছের ।এই গাছের পাতায় রয়েছে এক প্রাকৃতিক জেল। যেটি সব জায়গায় ব্যবহার করা যায়। তার মধ্যে কিছু কিছু ব্যবহারের জায়গা হল চুল স্বাস্থ্য ত্বক। যদি অ্যালোভেরা আমাদের কোন উপকারে আসে তাহলে এই তিনটি বিষয়ে বেশি উপকার।
এলোভেরা ফেসপ্যাক এখন বড় বড় পার্লার বা বড় বড় শপিংমল খুচরা বাজার। এলোভেরার ফেসপ্যাক বানানোর জন্য সর্বপ্রথমে একটি ভালো এলোভেরার পাতা নিতে হবে। এরপর এলোভেরার পাতা নেওয়া হয়ে গেলে, সেটিকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি ছুরি বা কাঁচি সাহায্যে এলোভেরার ওপরের অংশটুকু কেটে ফেলে,
অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা,ভেতরের জেলটুকু আলাদা করে নিতে হবে। এবং সেই জেল এর মধ্যে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল, সঙ্গে এক চামচ মধু, এবং লেবুর রস মিশিয়ে কিছুক্ষণ ধরে ফাটাতে থাকতে হবে। এরপর যখন ফেটানো হয়ে যাবে তখন সেটিকে মুখে লাগিয়ে দিতে হবে এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে অপেক্ষা করে থাকতে হবে।
এরপর যখন অ্যালোভেরার পেজটি মুখে লাগানোর পরে সেটি যখন শুকিয়ে আসবে তবে হালকা শুকিয়ে আসবে তখন পরিষ্কার পানি দিয়ে আলতো ভাবে হাত দিয়ে মাসাজ করতে করতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর দেখবেন আপনার ত্বক সুন্দর মসৃণ ও নরম তুলতুলে হয়ে গেছে।
অ্যালোভেরা মুখে কিভাবে ব্যবহার করবো?
অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা,এলোভেরা আমরা অনেকভাবেই মুখে ব্যবহার করতে পারি।যেমন এলোভেরার পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করতে, ডাইরে এলোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারি, অ্যালোভেরার ফিস মার্কস বানিয়ে ব্যবহার করতে পারি, এবং অ্যালোভেরার জেল বানিয়ে সেটি সংরক্ষণ করে অনেক সময় ধরে সেটি ব্যবহার করতে পারি ইত্যাদি।
এলোভেরা মুখে ব্যবহার করার কিছু নিয়ম রয়েছে, পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এবং সেটিকে আপনি যেভাবে ব্যবহার করবেন সেই রকম ভাবে কেটে নিতে হবে। যদি গোটা এলোভেরা নিয়ে মুখে বলতে থাকেন তাহলে চারকোনা পিস করে কেটে নিতে হবে।
আর যদি এলোভেরার মাক্স বানাতে চান তাহলে সেটিকে পেস্ট বানিয়ে মুখে ব্যবহার করতে হবে। এবং যদি সেটি এমনি ব্যবহার করতে চান তাহলে অ্যালোভেরার সাইজ করে কেটে সেটিকে কাটা চামচ বা চিরুনী সাহায্যে গলিয়ে নিয়ে সেটিকে ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেল মুখে মাখলে কি হয়
অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা,অ্যালোভেরার জেল আমরা অনেকভাবে ব্যবহার করতে পারি। বা এর ব্যবহারই উপকারিতা অনেক রয়েছে।অ্যালোভেরার জেল মুখে মাখলে ব্রণ ব্রনের দাগ,এলার্জি, টকে থাকা ছোট ছোট রেশ, চোখের নিচে ডার্ক, ইত্যাদি পার্মানেন্ট ভালো হয়ে যায়। অ্যালোভেরা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেলস রয়েছে যা আমাদের ত্বকের দাগ দূর করতে খুবই সাহায্য।
আমাদের ত্বকে হেলদি রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও স্যারদের শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রচুর পরিমাণ ঘাটতি রয়েছে। তারা যদি প্রতিদিন এই অ্যালোভেরার জেল এক গ্লাস করে খাই তাহলে খুব দ্রুত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর হবে।
অ্যালোভেরা জেল খেলে কি হয়
অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা, হ্যাঁ অ্যালোভেরা জেল খেতে হয়, এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা এলোভেরা জেল সম্পর্কে এখনো অত ভালো জানেন না। বা এটির ব্যবহার সম্পর্কে জানেন। এটা কি কি কাজে ব্যবহার করা যায়, বা কিভাবে খেতে হয়, বা আদৌ এটি খাওয়া যায় কিনা তা সম্পর্কে এখনো অনেকেরই অজানা রয়ে গেছে।
তবে এলোভেরা জেল খেতে হয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই, ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে রোগীর শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তারা যেন অ্যালোভেরা জেল প্রতিদিন এক গ্লাস করে খাই। তাহলে খুব দ্রুতই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও গবেষকরা বলেছেন যে অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহার করতে। তাহলে ত্বকের কালো দাগ বা চোখের নিচে কালো হ্রাস খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক এর অপকারিতা
অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী কিন্তু প্রত্যেকটি জিনিসের উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারী দিকো রয়েছে ।যেটি আজ আপনাদের সামনে আমি তুলে ধরব। আমরা যদি প্রতিদিন এলোভেরা জেল ব্যবহার করি তাহলে আমাদের ত্বকের অনেক রকম ক্ষতি হতে পারে। ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে চুলেরও যদি আমরা প্রতিদিন অ্যালোভেরা ব্যবহার করি।
অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা,তাহলে অনেক রকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তোকে যদি প্রতিদিন এলোভেরা ব্যবহার করি তাহলে ত্বকের উপরে একটি খসখসে ভাব চলে আসে। এছাড়াও যাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণ। আর চুলের যত্নে যদি আমরা অ্যালোভেরা প্রতিদিন ব্যবহার করি তাহলে চুলের সিল্কি ভাব হারিয়ে যাবে।
এবং চুলের আগা ফেটে যাবে, চুল আস্তে আস্তে ভেঙে পড়তে থাকবে। তাই কোন কিছুই আমরা অতিরিক্ত ব্যবহার করব না যেটি করব সেটি নিয়মের মধ্যে করবো। তাহলে হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
লেখক এর মন্তব্য
এলোভেরা এমন একটি উপাদান যেটি ব্যবহার করলে ক্ষতি কম হয় বরং উপকারটাই বেশি পাওয়া যায়। তবে যদি এলোভেরা আমরা নিয়মমাফিক ব্যবহার করে থাকি তাহলেই সেটি উপকারে আসবে। কারণ প্রতিটি জিনিসের একটি নিয়ম রয়েছে যদি সেটি আমরা মেনে চলি তাহলে উপকারে দিকটাই বেশি পাব। তাই আপনারা, বা অ্যালোভেরার ফেসিয়াল করতে চাইছেন তারা করতে পারেন তবে সেটির নিয়ম মেনে।
আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে আমার আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন আপনার দ্বারা অনেক উপকারে আসতে পারে ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url