চন্দন মাটির ফেসপ্যাক সম্পর্কে ১০ টি টিপস জানুন

 চন্দন মাটির ফেসপ্যাক সম্পর্কে আপনারা অনেকেই অনেক জায়গায় সঠিক তথ্য খোঁজাখুজি করেছেন।কিন্তু কোথাও সঠিক তথ্য খুঁজে পাননি। হতাশ হওয়ার কারণ নেই আজকে আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে চন্দন মাটির ফেসপ্যাক সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানাবো।


এই চন্দন মাটি চন্দন মাটি দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করা যায় তা সম্পর্কে নিচে কিছু পয়েন্ট আকারে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। সবাইকে মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

 ভূমিকা

চন্দন মাটির ফেসপ্যাক, চন্দন  এটি একটি মাটি।  এটি একটি প্রপার দেশি মাটি। যেটি আমাদের দেশে হোক ভারতের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও পাওয়া। এই মাটির মূলত হাতে তৈরি করা হয়। বিশেষ করে শিল্পীদের জন্য এই মাটি প্রস্তুত করন করা হয়। এই চন্দন মাটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা। অনেক শিল্পী রায় এই চন্দন মাটি দিয়ে হাতে তৈরি পর্ন হাড়ি পাতিলসহ অনেক শোপিস বানিয়ে থাকেন।

এছাড়াও এই চন্দন মাটি দিয়ে অনেক সুন্দর ফ্রেশিয়াল করা যায়। চন্দন মাটি  ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধ। সঙ্গে ত্বকের দাগ মিশিয়ে দেয়। এছাড়াও যাদের শরীরে ছিয়ালী, বা চর্মরোগ রয়েছে তারা যদি এই চন্দন মাটি নিয়মিত ব্যবহার করে তাহলে খুব দ্রুতই এই রোগ থেকে রক্ষা পাবে। আমাদের দেশের পাহাড়ি এলাকার মানুষ।

যেমন খাগড়াছড়ি,বান্দরবান ইত্যাদি এই শহরগুলিতে বেশি চন্দন মাটির প্রচলন রয়েছে। আর এই শহরগুলোতেই এই মাটি পাওয়া যায়। ওই এলাকার মানুষগুলো অতিরিক্ত রোধ থেকে বাঁচার জন্য এই চন্দন মাটির গালি লাগিয়ে ঘুরে বেড়াই। তারা মনে করে এই মাটি ত্বকে সব সময় লাগিয়ে রাখলে রোদের আদ্রতা ত্বককে নষ্ট করতে পারবে না।

চন্দন মাটির উপকারিতা

চন্দন মাটির বিভিন্ন উপকারী গুণ রয়েছে। এছাড়াও এই চন্দন মাটি ব্যবহার করে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। চন্দনমাটিয়ে আমরা যেমন মুখে ফেসিয়াল ভাবে ব্যবহার করতে পারি তেমন এই চন্দন মাটি দিয়ে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ও বানাতে পারি। চলুন আজকে চন্দন মাটি দিয়ে কি কি করা যায় তার সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি।

1.চন্দন মাটি দিয়ে ফেসিয়াল বানানো যায়।

2.চন্দন মাইতি মুখে ব্যবহার করলে খুব দ্রুত ব্রণ ভালো হয়ে যায়।

3. তকে ঠান্ডা ও শীতল রাখতে সাহায্য করে।

4. ব্রণিক দাগ খুব দ্রুত মিশিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।

5. চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল কমিয়ে ফেলে।

6. এছাড়াও চন্দন মাটি ত্বকে ফর্সা  করে।

7. খুব সহজে ব্রণ ভালো করে দেয়।

চন্দন নাকি অনেক ভাবে পাওয়া যায়। চন্দন মাটির গুড়া পাওয়া যায়। এবং চন্দন মাটি  রোদে শুকিয়ে সেটিকে একটি আকারে দেওয়ার পর সেটিকে বাজারজাতকরণ করা। এছাড়াও চন্দন মাটির ফেসপ্যাক বানানো পাওয়া যায়। আবার চন্দন মাটির বিভিন্ন ক্রিমও পাওয়া যাচ্ছে এখন।

চন্দন মাইতি আর মুলতানি মাটি কি এক

চন্দন মাটির মতো আরেকটি মাটি হচ্ছে সেটি মুলতানি মাটি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা চন্দন মাটি আর মুলতানি মাটিকে একই মনে করে। কিন্তু চন্দন মাটি আর মুলতানি মাটির দুইটি ভিন্ন প্রজাতির মাটি। চন্দন মাটি আর মুলতানি মাটি দুটি দিয়েই ফেসপ্যাক বানানো যায়। বা ফেসিয়াল করা যায়।

 চন্দন মাটির ফেসপ্যাক,এক কথায় ত্বকে ব্যবহার করা যায়। তবে চন্দন মাটি পাওয়া যায় চন্দন গাছের আশেপাশে। এই মাটিকে চন্দন গাছের আশপাশ থেকে তুলে নিয়ে এসে সেটিকে পরিষ্কার করে প্রস্তুত করন করা হয়। এবং সেটির বিভিন্ন ক্রিম ফেসিয়াল ফেস এসব তৈরি করা হয়। এছাড়াও মাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবান এসব এলাকাতেই বেশি পাওয়া।



তবে এটি ব্যবহার যেহেতু আস্তে আস্তে বেড়েছে তাই এটি এখন বাংলাদেশে প্রায় সমান চলেই পাওয়া যাচ্ছে। মুলতানি মাটি এই মাটির একটি বিশেষত্ব গুন আছে তাই এটি একটি বিশেষ ধরনের মাটি। এই মাটি  মুলতানের আশেপাশে পাওয়া যায়। তবে এই মাটি দিয়েও ফ্রেশিয়াল বা ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। এটিও ত্বকের জন্য অনেক উপকার। এই মাটি ত্বকে লাগিয়ে রাখলে ত্বক নরম।

চন্দন মাটি ব্যবহারের নিয়ম

চন্দন মাটির ফেসপ্যাক, চন্দনাকি ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে। চন্দন মাটি মূলত আমরা ত্বকে ব্যবহার করে থাকি। যাদের কালে অতিরিক্ত ব্রণ বের হয় বা অতিরিক্ত ব্রণের দাগ রয়ে গেছে তারা নিয়মিত যদি চন্দন মাটি ব্যবহার করে তাহলে খুব দ্রুত সেগুলো ভালো হয়ে যাবে। এছাড়াও যাদের চোখের নিচে কালো দাগ বা যাদের শরীরে চর্মরোগ রয়েছে,

যেমন দাউদ তারা যদি প্রতিদিন নিয়ম মত চন্দন মাটি ব্যবহার করে তাহলে খুব দ্রুত এ রোগ থেকেও রক্ষা পাবে। এছাড়া যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে তারা চন্দন মাটি থেকে  বিরত থাকবে। কারণ  এই মাটি মাখার ফলে আরও এলার্জি বেড়ে যেতে পারে যেটি ত্বকের জন্য খুবই ক্ষত। মাটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সম্পর্কে জানি,

চন্দন মাটি ব্যবহার করার আগে সেটিকে সুন্দর করে গুড়ো করে নিতে হবে। এমন ভাবে গুঁড়ো করতে হবে যেন কোন দানা দানা হয়ে না। এরপর সেটিকে একটি পাত্রে নিয়ে নিতে হবে। তারপর সেখানে এক চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে সেটিকে কিছুক্ষণ ধরে সেটাতে। তারপর সেই ফ্যাটানো পেজটি ফেঁসে লাগাতে হবে।

লাগিয়ে কিছুক্ষণ বলতে ১০ থেকে ২০ মিনিট মতো অপেক্ষা করতে হবে শুকনোর। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন অতিরিক্ত শুকিয়ে না যায়। অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এরপর যখন হালকা শুকিয়ে যাবে তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে দুই হাতে আলতো করে তোলে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এরপর দেখবেন এভাবে যদি এক থেকে দুই মাস ব্যবহার করা হয় তাহলে বিভিন্ন ব্রণ বা ব্রনের দাগ বা বিভিন্ন সমস্যার খুব দ্রুত সমাধান পেয়ে গেছে।

চন্দন মাটি মুখে ব্যবহার করলে কি ফর্সা হওয়া  যাই?

হ্যাঁ চন্দন মাটি মাখলে ফর্সা হওয়া যায় ।কারণ চন্দন মাটির ফেসপ্যাক আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। চন্দন মাটি এটি কোন প্রোডাক্ট না। এটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয় না। বা এটি কোন মেশিনের মাধ্যমে তৈরি হয় না। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি। এটি তে কোন ভেজ। তার মাটি তকি ব্যবহার করলে কোন ক্ষতি হয় না।

তবে যদি এটি অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করে ফেলি তাহলে অবশ্যই ক্ষতি হবে। কারণ কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না।  চন্দন বাটি মাখলে ফর্সা হয় কারণ চন্দন মাটি অনেকটা ঠান্ডা এবং শীতল প্রকৃতির একটি মাটি। এবং এই মাটি যদি ত্বকে লাগিয়ে সারাদিন রোদে ঘোরা যায় তাহলে ত্বকের কোন সমস্যা হয় না। এটি রোদ থেকে প্রোডাক্ট করে আমাদের ত্বককে। কিছুটা সানস্ক্রিম এর মত। এইজন্যই চন্দন মাটি মাখলে ফর্সা হয়

চন্দন মাটি সবচাইতে ভালো

চন্দনবাটি দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হচ্ছে রক্ত চন্দন এবং আরেকটি হচ্ছে শ্বেতচন্দন।এই দুইটি চন্দন দুই রকমের হয়ে থাকে। 


চন্দনের অপকারিতা

চন্দন মাটির ফেসপ্যাক, চন্দন আমাদের ত্বকের জন্য যেমন উপকারী তেমন ত্বকের জন্য ক্ষতি করো কম।চন্দন অতিরিক্ত ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে। যেমন ত্বকে আস্তে আস্তে খসখুসে ভাব চলে আসতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত চন্দন ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে।

কারণ অতিরিক্ত কোন কিছুই। সবকিছুই একটি নিয়ম রয়েছে। তেমন চন্দন ব্যবহার করারও একটি।  সেই কোন না।  আর যদি সে নিয়ম্য তাবিক না চলা হয় তাহলে অনেক বড় সমস্যা সম্মুখীন হতে পারি।

লেখকের মন্তব্য

আমার মতে চন্দন মাটি আমাদের শরীরের জন্য বা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ।চন্দন মাটি ত্বকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এবং এটি রোধ থেকে ত্বককে প্রটেক্ট করে। চন্দনমা টিম ত্বকে ব্যবহার করলে কোন জ্বালাপোড়া করে না বরং এটি রোদে থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব সময় ব্যবহার করা উচিত। তবে অনিয়মিতভাবে যেন কেউই ব্যবহার না করে। আশা করি আমরা আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের কাছে বন্ধুবান্ধবদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url