ধূমপান করলে কি কি ক্ষতি হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত জান

ধূমপানের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু ও কোথাও সঠিক তথ্য খুঁজে পাননি।চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে আমরা এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সম্পূর্ণ বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য মনোযোগ দিয়ে রইল।

ধূমপান এখন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।এই ধূমপানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিচে কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা আছি সেগুলো সহকারে  করবেন।

ভূমিকা

ধূমপানের ক্ষতিকারক দিক,ধূমপান নিয়মিত ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যের অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে ওখান থেকে ক্যান্সার হয়। ধূমপান শরীরকে আস্তে আস্তে শেষ করে ফেলে। ধূমপান করলে আমাদের শরীরে ক্ষতি হয় ক্ষতি হয় আমাদের পাশে থাকা মানুষগুলোর।

ধূমপানের ক্ষতিকারক দিক

আমরা জানি ধূমপান মারাত্মক ক্ষতিকর।ধূমপান থেকে মৃত্যু অবধি হতে পারে। আমরা জানি ধুমপান ক্ষতিকর ক্যান্সার হয় অনেক রোগী  আক্রান্ত হই তবুও আমরা সবাই ধূমপান করি।আমরা ধুমপান করি কিন্তু এটা জানি না। 

আরো পড়ুন:পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

ধূমপানের ক্ষতিকারক দিক,যে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য ধূমপান করছেন আমাদের মাধ্যম দিয়ে।তাই ধুমপান করলে যে শুধু নিজের ক্ষতি হয় এটা না আমাদের আশেপাশে থাকা মানুষ পরিবারের মানুষ সবারই ক্ষতি হয়।

ধূমপান ছাড়ার উপায় কী?

ধূমপান এটি একটি নেশা।ধূমপান করলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুকি অনেক বেশি থাকে। কথাটা আমরা সবাই জানি কিন্তু সবাই ধূমপানের প্রতি আস্তে আস্তে অনেক আসক্ত হয়ে পড়ছি।যারা দীর্ঘদিন থেকে ধূমপান করে আসছে তারা ধূমপান ছাড়তে পারবে না।

আর যারা ধূমপানের প্রতি আসক্ত তাদের পক্ষে ধূমপান ছাড়া টা খুব কঠিন একটি বিষয়। এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে এবং সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে তারা ধূমপানের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে।

ধূমপান করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে?

এইদিকে আমাদের বাংলাদেশী ধূমপানের  হার ব্যাপকভাবে বাড়ছে। ধূমপান করলে শরীরে এ মারাত্মক রোগ কি হয় সেটি হচ্ছে ক্যান্সার। ধূমপান করলে আস্তে আস্তে শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি হয় এবং আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাই।

ধূমপান কি এবং এর প্রকারভেদ?

ধূমপান হচ্ছে সাধারণত তামাক পাতা কে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে সিটি সেটি কে পোড়ালি যে  ধোঁয়া বের হয় সে টিকে  নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করায় ধূমপান।এই ধূমপান করলে ক্যান্সার শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হয়ে থাকে।

ধূমপান করলে কি ক্ষুধা বাড়ে?

ধূমপান করলে আস্তে আস্তে খাবারের চাহিদা কমে যায়। এবং খিদা কম লাগে। খাবারের প্রতি অরুচি চলে আসে। ধূমপানের ক্ষতিকারক দিক ,ওজন কমে যায় ধূমপানের ফলে ক্রন'স ডিজিজের বৃদ্ধি পায়।নিকোটিনের ধোঁয়া মস্তিষ্কে পৌঁছালে খাবারের চাহিদা  কমিয়ে দেয়।

এবং আস্তে আস্তে খিদার পরিমাণ কমে যায়। নিকোটিনের খিদা দমন করে এবং চর্বি জমাট বাধাতে সক্ষম। মানুষের শরীরে আ্যড্রোনালিন আর মন থাকি এই সেই হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়ে দেয় এবং বিপাক ক্রিয়া আর বাড়িয়ে দিন। 

হাতের শরীরের চর্বি আস্তে আস্তে জমাট বাঁধতে শুরু করে এইজন্য ধূমপান করলেই খিদার পরিমাণ কমে যায়।

ধূমপান করলে কি সুগার কমে?

ধূমপানের ক্ষতিকারক দিক,গবেষণা থেকে জানা গেছে যে ব্যক্তি ধূমপান করে তার ডায়াবেটিকস ঝুঁকি বেড়ে যাই। ধূমপান করলে নিকোটিনের প্রভাবে রক্ত শর্করা পরিমাণ বেড়ে যাই ফলে ডায়াবেটিস ব্যক্তিদের জন্য রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে।

ধূমপান খারাপ কেন?

ধূমপান শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ধূমপান করলে হুশ ক্যান্সার হয়, ফুসফুস  নষ্ট হয়ে যায়, রক্তের চাপ বেড়ে যায়, দাঁতের কালো হয়ে যায়,মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাধি ইত্যাদি।ক্যান্সার এটি একটি মারাত্মক রোগ। যা আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়।

আমাদের শরীরে যদি ক্যান্সার একবার আক্রান্ত হই তাহলে তা থেকে রক্ষা পাওয়া অসম্ভব। এমনকি আমার ধূমপান যখন করি আমাদেরই ক্ষতি হয় তা না আশেপাশে থাকা ফুল মানুষ যেমন আমাদের পরিবারের মানুষগুলোর ক্ষতি হয়।

ধূমপান ছাড়ার ঔষধ কোনটি?

ধূমপান ছাড়ার ঔষধ। ধূমপান এটি একটি নেশা।এটা ছাড়া পদক্ষেপ রয়েছে যেমন,ধূমপান এটি একটি যা অভ্যাসে পরিণত হয় মানুষের এটি কোন রোগ না যে এটি ঔষধ দিয়ে থমধন করা যাই। ধূমপান ছাড়তে হলে গামজাতীয় তোমার মুখের মধ্যে রাখতে হবে।

চকলেট খেতে হবে বেশি বেশি। কারণ চকলেট সবসময়ই মুখের মধ্যে থাকলে একটু মিষ্টি অনুভব হইলে নিকোটিনের নেশাটা একটু হলেও কমে যায় তাই লজেন্স চুইংগং চকলেট জাতীয় খাবার আমাদেরকে বেশি বেশি খেতে হবে।তাহলে হয়তো ধূমপানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।


ধূমপান ছাড়ার জন্য ঔষধের সাথে কিছু সাধারণ পদক্ষেপ। মানসিক ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।ধূমপান ছাড়ার জন্য সাপোর্ট গ্রুপে যোগদান দিতে হবে এবং নিজের সমস্যার কথা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে হবে।

লেখক এর মন্তব্য

ধূমপান শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর তাই ধূমপান এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে আমি আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছেঅ তাই আপনাদের আছে বন্ধুদের কাছে আমার আর্টিকেলটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url