টিকটক আইডি কি কি কাজে ব্যবহার করা যাই জেনে নিন

টিকটক আইডিতে কি কি কাজ করা যায় এবং সেটা কিভাবে করা যায় তার সম্পর্কে হয়তো আপনারা অনেকেই সঠিক তথ্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও খুঁজে  পাচ্ছেন না। চিন্তার কারণে আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে আজকে  সঠিক তথ্য জানাবো।b

tiktok আইডিতে কি কি কাজ করা যায় বা এটি কি কি কাজে ব্যবহার করা যায় তা সম্পর্কে নিজে কিছু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। সবাইকে মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

টিক টক একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ইনস্টাগ্রাম ফেইসবুক এর মত টিকটকও একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আমাদের বাংলাদেশসহ বাইরের দেশের অসংখ্য মানুষ এই tiktok এ একাউন্ট খুলে রাখছেন। এছাড়া তারা ডেইলি ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করেন। তবে একটা কথা বলে রাখি টিক টক প্ল্যাটফর্মে কিন্তু ছবি পোস্ট করা যায় না। শুধু এখানে ভিডিও শেয়ার করা যায়।

আরো পড়ুন: tiktok আইডি খোলার কিছু সহজ টেকনিক জেনে রাখুন

tiktok এ কি কি কাজ করা যায়

টিক টক এ মূলত সবচেয়ে বড় যেটি মূল বিষয় সেটি হচ্ছে বিজনেস করা যায়। বিজনেসের একটি মূল পাঠ হচ্ছে টিকটক। যেহেতু আমাদের দেশ এবং বাইরের দেশের অধিকাংশ মানুষ এই সোশ্যাল মিডিয়াটি ব্যবহার করেন। এবং রেগুলার তারা একটিভ থাকেন। সেক্ষেত্রে বিজনেসের বড় একটি উৎস এই টিক টক অ্যাপস।

এছাড়াও যারা নতুন বিজনেস করতে চাইছেন তারা খুব দ্রুত এবং বড় করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও টিকটকে আরো অনেক কিছু করা যায় যেমন এফিলিয়েট মার্কেটিং, অনলাইন বিজনেস, প্রমোশন, এছাড়াও টিক টক এ বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করে টিক টক কোম্পানি থেকে কিছু টাকা আয় করা যায়।

টিক টক এ ভিডিও বানিয়ে কিভাবে টাকা আয় করবেন

আমরা মূলত টিক টক অ্যাপ থেকে ভিডিও দেখার জন্যই ব্যবহার করে। তবে সেই ভিডিওটি খুব বেশি সময়ের হয় না মাত্র 15 থেকে 20 সেকেন্ডের মতো ভিডিও হয়ে থাকে। এ ছাড়াও অনেকে আছেন যারা এই টিকটকে নিজেদের ভিডিও বানিয়ে আপলোড করেন।

এবং সে মানুষ দেখেন লাইক কমেন্ট শেয়ার এইসব করেন এবং tiktok এর ফরওয়ার্ড আস্তে আস্তে বেড়ে যাই। তখন যখন tiktok এ আপনার একাউন্টটি খুব দ্রুত গ্রো করবে এবং আপনার ফলোয়ার্স বেড়ে যাবে তখন টিক টক কোম্পানি  থেকে আপনাকে একটি টাকা দিবেন।

টিক টক বিজনেস

টিকটক বিজনেস মূলত আমাদের  যাদের বিজনেস রয়েছে যেমন কাপড়ের বিজনেস কারো কারো রয়েছে কসমেটিকসের বিজনেস আবার কিউকিউ বিভিন্ন জনেস প্রোডাক্ট বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে সেগুলোর বিজনেস করেন। তারা যদি তাদের বিজনেসের কিছু পণ্য ভিডিও করে  টিকটকে আপলোড করে সেখান থেকে মানুষের যদি ভালো লাগে তাহলে আপনাকে মেসেজ দিয়েছি।

পণ্যগুলো তারা সেখান থেকে কিনে নিবে টিক টক এর মাধ্যমে টিকটক থেকে বিজনেস করতে পারেন। এছাড়াও যারা tiktok এ অনেকেই আছেন যাদের পেইজ গুলো অনেক রয়েছে তারা  অনেক সময় প্রমোশনের জন্য অনেক কোম্পানি বা বড় বড় ব্যবসিকরা তাদেরকে হায়ার করে থাকেন। তারা তখন তাদের কোম্পানির প্রোডাক্টগুলোর ভিডিও করে tiktok এ আপলোড করে দেয় এবং সেখান থেকে তারা অর্থ উপার্জন করেন।

Tiktok এর উপকারিতা

টিক টক এ উপকারিতা দিক বলতে গেলে আমরা শুধু বিজনেস এর দিক টাইম বেশি বুঝে থাকি। কারণ এটি বিজনেসের কাজে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া অনেকেই তাদের শখের বসে বা তাদের সময় কাটানোর জন্য এখানে ভিডিও দেখেন এবং অনেকেই আছেন যারা ভিডিও বানিয়ে আপলোড করেন।

tiktok এর অপকারিতা

টিক টক এর অপকারিতা মূলত ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে। কারণ ছোট বাচ্চারা এই সব ছোট ফানি ভিডিওগুলো দেখতে বেশি পছন্দ। এবং এগুলোর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। যে ছোট বাচ্চার জন্য মারাত্মক ক্ষতি। এছাড়াও এই টিক টক ভিডিওটি বা এফসি এত টাইম ক্ষতিকর যে এখানে মানুষ খুব বেশি পরিমাণে আসক্ত হয়ে পড়েন। এবং এই আসক্ত থেকে বের করা তাদেরকে খুবই অসম্ভব।

লেখকের মন্তব্য

আমার মতে প্রতিটি জিনিসেরই উপকারিতা দিক এবং অপকারিতা থাকে। তেমন tiktok এরও অপকারিতা দিক এবং অপকারিতা দিক রয়েছে। তবে আপনারা যেটি ব্যবহার করবেন সেটি আপনাদের জন্য ভালো যেমন আপনি যদি  আপনার উপকারিতা ব্যবহার করেন তাহলে আপনি এখানে থেকে অনেক উপকার পাবেন।

আশা করি আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তো অবশ্যই আপনাদের কাছে বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবার কাছে আমার আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।