পুঁইশাক চাষ এবং খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আমরা অনেকেই পৈশাখ খেতে পছন্দ করি কিন্তু এটি কিভাবে চাষ করতে হয়তা আমরা অনেকেই জানিনা। বা অনেক জায়গায়  পুঁইশাক চাষের সঠিক উপায় জানার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি। চিন্তা কারণে আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য জানাবো।

পুঁইশাক খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা এবং যার সম্পর্কে নিজে কিছু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। সবাইকে মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

ভূমিকা

পুঁইশাক একটি পরিচিত প্রায় সবার কাছে। পুইশাক এমন একটি সবজি যেটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পুঁইশাক চাষ এবং খাওয়ার উপকারিতা, এছাড়া বৈশাখের চাহিদা এখন ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে গেছে। কারণ মানুষ বৈশাখ কি বিভিন্নভাবে রান্না করে পরিবেশন করছেন।

আরো পড়ুন:খেজুরের রস কোন সময় পাওয়া যায়

এবং পুঁইশাক খেতেও বেশ সুস্বাদু।, পুঁইশাকের পাতা ডাটা এবং বীজ সবগুলোই খাওয়া যায়। এবং সবগুলোই খুবই পুষ্টিগুণে ভরা। তো চলুন আজকে বৈশাখ খাওয়ার উপকারিতা এবং তার সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন।

পুঁইশাক খাওয়ার উপকারিতা

পুইশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। সেই ভিটামিন গুলো হলো ভিটামিন এ ভিটামিন সি যেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। পুঁইশাক প্রাকৃতিকভাবে জন্মায়। এতে কোন সার বা কোন রকম কোন ঔষধ ব্যবহার করতে হয়। পুঁইশাক চাষ এবং খাওয়ার উপকারিতা, এই গাছে শুধু কোন একটি ভেজা স্বচ্ছতা জায়গায় পুঁতে দিলেই বেশ কিছুদিন পর খুব ভালো একটি গ্রোথ দেয়।

তাই বৈশাখে কোন ষাঁড় বা কোন ওষুধ ব্যবহার করতে হয়।  এই জন্যই মূলত বৈশাখে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। আর এ ভিটামিন গুলো আমাদের শরীরের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চুল এরও  উপকারী করে। এছাড়াও এই সবজিতে যেহেতু কোন সার বা কোন প্রকার কোন কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না তাই এই  শাক খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায় এছাড়া বিভিন্ন রোগবালাই থেকে রক্ষা করে।

পুঁইশাক খেলে কি ক্ষতি হয়?

বৈশাখ সাধারণত  প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মায় এবং এটি কোন  প্রকার সার ব্যবহার করা হয় না তাই এটি শরীরের অন্য কোন ক্ষতি করে না। তবে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা এই সাতটি কে এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও যাতে শরীরে অধিক পরিমাণে এলার্জি রয়েছে তারাও এসাকে এড়িয়ে চলুন। কারণ পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি রয়েছে।

পুঁইশাক চাষ এবং খাওয়ার উপকারিতা, যা খাওয়ার সঙ্গেই শরীরে বেরিয়ে আসে এলার্জির। এবং যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে তারাও যদি এই সাতটি নিয়মিত খেয়ে থাকে তাহলে প্রচুর পরিমাণে কিডনি সমস্যা হতে পারে তাই এই শাক না খাওয়াই ভালো কিডনির সমস্যা আছে এমন মানুষের।

পুঁইশাক ছেলে কি প্রেসার বাড়ে?

আমাদের মাঝে অনেকে আছেন যারা ভাবেন বৈশাখ খেলে প্রেসার বেড়ে যায়। তবে তাদের ধারণা ভুল। আমরা সবাই জানি সবুজ শাকসবজি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তেমনি পুঁইশাক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

পুঁইশাক চাষ এবং খাওয়ার উপকারিতা, এছাড়াও বৈশাখে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য। এই জন্য পুঁইশাক খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের খুব একটা ক্ষতি হয় না। বরংচ আমাদের প্রেসার আরো ভালো অবস্থানে থাকে।

পুঁইশাক খেলে কি ওজন কমে?

আমরা যেহেতু বৈশাখে অনেকভাবে খেয়ে থাকি তাই ভাবতে পারি যে  পুঁইশাক খুব দ্রুত ওজন বেড়ে যায়। তবে কিন্তু তা নয় এটি ঠিক বিপরীত তাই হয়ে থাকে।  পুঁইশাক খেলে ওজন খুব দ্রুত কমিয়ে। যারা প্রতিদিন ডায়েট করেন বা ব্যায়াম করেন তাদের জন্য পুঁইশাক একটি খুব উপকারী দিক। আপনারা যদি চান তাহলে পুঁইশাক খেয়েও আপনাদের ইমিউনিটি বা শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে পারেন।

পুইশাকে কি কি ভিটামিন রয়েছে?

পুঁইশাক অতি ভিটামিন যুক্ত একটি শাক। যাতে ভরে ভরে ভিটামিন রয়েছে যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি,  প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালরি, এছাড়াও পুঁইশাক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে ইত্যাদি। আমরা হয়তো ভাবি বৈশাখী ঠিক তেমন কোন গুণ নেই।

তবে আমরা জানলে অবাক হব পুশাকের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে গুণ রয়েছে। পুঁইশাক চাষ এবং খাওয়ার উপকারিতা, যেগুনগুলো হয়তো অন্য কোন সাকে নাই। তাই আমাদের দৈনন্দিন রুটিন এ পুঁইশাককে রাখা অপরিহার্য।

পুঁইশাককে কত রকম ভাবে খাওয়া যায়?

আমরা হয়তো ভাবি  পুঁইশাক শুধু ভাজা করে খাওয়া যায়। তবে আমাদের ধারণা ভুল পুঁইশাককে আমরা অনেক ভাবেই খেতে পারি। আমরা যারা গ্রামাঞ্চলের মানুষ রয়েছি তারা পুশাকে অনেক রকম রূপে রূপান্তর করে রান্না করে খেতে পারি যেমন, পুঁইশাকের ভাজা করে খাওয়া যায়, এছাড়াও পুঁইশাকের শাক এবং ডাটা দিয়ে ডাল দিয়ে জোর করে রান্না করেও খাওয়া যায়।

আবার পুঁইশাকের ডাটার ভাজি করেও খাওয়া যায়। এছাড়াও  আমাদের বান্দরবানদের পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষরা এই শাককে সেদ্ধ করে মরিচ ভর্তার সঙ্গে খেয়ে থাকেন। যেটি খেতে অসম্ভব সুস্বাদু।পুঁইশাক চাষ এবং খাওয়ার উপকারিতা।

পুঁইশাক খাওয়ার অপকারিতা

এতক্ষণ আমরা পইশা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। পুইশা খেলে কি কি উপকার হয় এবং পুঁইশাকের মধ্যে কি কি উপকারি গুণ রয়েছে। বা পুইশাক মধ্যে কি কি ভিটামিন রয়েছে তা সম্পর্কে এতক্ষণ জানলাম। কিন্তু  পুঁইশাকের ও যে অনেক অপকারিত দিক রয়েছে তা আমরা হয়তো এড়িয়ে গেছি বা জানতে চাইনি।

পুঁইশাক চাষ এবং খাওয়ার উপকারিতা, তবে বৈশাখের যেমন উপকারী গুণগুলো জেনেছি ঠিক একই ভাবে পোশাকের অপকারী গুন গুলো জানাও আমাদের জন্য খুবই জরুরী।  পুঁইশাক খেলে সব চাইতে বেশি ক্ষতি হয় যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে।

তাই ডাক্তাররা বলেছেন যে কিডনির সমস্যা হলে আপনারা পুঁইশাক একটু কম খাবেন। এ ছাড়াও যাদাদের শরীরে অধিক পরিমাণে এলার্জি রয়েছে তারা যদি পুঁইশাক খায় তাহলে তাদের শরীরে অনেক পরিমাণে এলার্জি বেড়ে যাবে। কারণ এলার্জির একটি মূল উৎসই হচ্ছে পুঁইশাক।

পুইশাকের চাষ

পুঁইশাক চাষ করা খুবই সহজ বৈশাখের ছোট ছোট চারা নিয়ে এসে প্রথমে একটি জায়গা লাগিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে বৈশাখের যে জায়গাটিতে লাগাবেন সেই জায়গাটা যেন একটু ছায়াযুক্ত এবং ভেজা সাথে চাহিদা হয়। সেখানে আপনি যদি দুই থেকে তিনটি চারা নিয়ে এসে লাগিয়ে দেন তাহলে দেখবেন এগুলো বড় হয়ে।

আস্তে আস্তে লতাপাতা ছড়িয়ে  অনিক গুলো পুঁইশাক হয়ে গেছে। আপনি সেখান থেকে নিজেও খেতে পারবেন এবং আপনার বাজারেও বিক্রি করতে পারবেন এবং অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে এই বৈশাখে কোন প্রকার সার ব্যবহার করতে হয় না। এটি আর ছাড়াই খুব সুন্দর ভাবে জন্মায় এবং খুবই লতাপাতা ছাড়াতে সক্ষম।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আমার আর্টিকেল থেকে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে পুঁইশাক চাষ করবেন এবং পুঁইশাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দিকগুলো। আমার আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার কাছের বন্ধু এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।