শীতকালে শসার চাষ এবং খাওয়ার উপকারিতা জেনে রাখুন

শার্শায় একটি অধিক জনপ্রিয় সবজি। তবে এই শশানে চাষ করতে চাইছেন অনেকেই কিন্তু শসা চাষ করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের অনেকেরই অজানা। হয়তো অনেক জায়গায় শসা চাষ করার সঠিক তথ্য খোঁজাখুঁজি। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাননি।? চিন্তার কারণ নেই আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে শসা চাষ করার সকল সঠিক তথ্য জানাবো।

চলুন শসা চাষ করতে হয় কিভাবে তার সম্পর্কে নিজে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা আছে সেগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ি।

আরো পড়ুন:আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করবেন জেনেনিন

ভূমিকা

শসা এমন একটি সবজি যেটি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এটি বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশি চাষ করা হয়। এই শসা চাহিদা পুরো পৃথিবীতেই ছড়িয়ে আছে। কারণ শসা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি। এছাড়াও এই শশা দিয়ে বিভিন্ন খাবার তৈরি করা যায়। বিভিন্ন সালাদ তৈরি করা যায়। এবং শসা বাজারজাতকরণ করেও অনেক অর্থ উপার্জন করা যায়।

শীতকালে শসা চাষ

শীতকালে শসা চাষ করার একটি উপযুক্ত সময়।আমাদের বাংলাদেশের মানুষরা সবচাইতে বেশি শীতকালে শসা চাষ করেন। এবং কিছু কিছু সময় গরমের সময়ও যেমন গ্রীষ্মকালে শসা চাষ করেন। কারণ গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরম থাকে। আর শশাই অধিক পরিমাণে পানি থাকাই এটি চাহিদা গ্রীষ্মকালে সবচাইতে বেশি থাকাই মানুষ এখন গ্রীষ্মকালেও শসা চাষ করছেন। এবং ব্যাপক অর্থ উপার্জন করছেন।

শসা খাওয়ার উপকারিতা

শসা খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতা দিক রয়েছে। প্রথমত আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশনের  ঘাট থেকে রক্ষা করে। শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ। শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য। খাবারের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। ইত্যাদি আপনারা অনেক ভাবেই খেতে। অতিরিক্ত গরম যখন পড়ে তখন আমাদের শরীরের প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরে।

এবং সেখান থেকে ডি হাইড্রেশন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আমাদের গ্রীষ্মকালে বেশি বেশি শসা খেতে হবে। তাহলে ভিটামিন পাওয়া যাবে এবং সাথে সাথে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। এছাড়াও আমাদের মাঝে যারা দৈনিক ব্যায়াম করেন।

বা জিম করেন, বা নিজের শরীরের যত্ন নেন। সবসময়ই ফ্রি থাকতে চান। তারা যদি প্রতিদিন এক থেকে দুইটি করে শসা খান তাহলে আপনাদের শরীরের চর্বি গলি আপনাদের শরীরকে সুস্থ এবং সতেজ রাখবে।

প্রতিদিন কয় কি করে শসা খাওয়া উচিত?

আপনি প্রতিদিন যদি এক থেকে দুইটি করে শসা খান তাহলে আপনাদের শরীরে থাকা পাচনতন্ত্রের সুস্থ রাখবে। এবং শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। এছাড়াও এই শশাটি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে সবসময় ঘাটতি দেখা দেয়। তাই আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম করে দুই থেকে তিনটি বা চারটি করে শসা খান তাহলে আপনার শরীরের এই ঘাটতি গুলো পূরণ হয়ে যাবে। এবং আপনি সুস্থ থাকবেন।

শসা কখন খাওয়া উচিত?

সাধারণত শসা প্রায় অনেক সময়ই খাওয়া যেতে পারে। তবে যদি শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম বলি তাহলে সেটিও খালি পেটে সকাল বেলায়। বা নাস্তার সঙ্গে খেতে পারেন। তবে যে এটি আপনি যেকোনো সময় খেলে আপনার শরীরের সমস্যা হবে তা কিন্তু নয়। আপনি যখন তখনই খেতে পারেন কিন্তু এটির একটি সঠিক নিয়ম হচ্ছে খালি পেটে সকাল বেলায় এক থেকে তৈরি করে শসা খাওয়া।

শসা কি কি ভাবে খাওয়া যায়?

শসা কি আপনি অনেক ভাবে খেতে পারেন।  যেমন, কাঁচাতে খেতে পারেন। রান্না করে খেতে পারেন। সালাত বানিয়ে খেতে পারেন। এবং বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে ডেকোরেশন করে খেতে। এবং সাদা ভাতের সঙ্গে পাতলা স্লাইস করে কেটে খাবারের শার্ট বানানোর জন্য খেতে পারেন। এছাড়াও আমাদের দেশ সহ বাইরের দেশের বড় বড় রেস্টুরেন্ট গুলোতে।

এই সোশাকে বিভিন্নভাবে পরিবেশন করা হয়। যেমন সালাত বানিয়ে পরিবেশন করা হয়। আবার কখনো কখনো খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। ইত্যাদি আপনারা শসা কি যেমন ইচ্ছে তেমনভাবেই খেতে পারেন।

শশা তে লবণ ব্যবহার করে খেলে সমস্যা হবে?

শসা কাঁচা অবস্থায় যখন জমি থেকে তুলে নিয়ে আসা হয় তখন শশার গায়ে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া জন্মে থাকতে পারে। তাই যদি আপনি সেই শশাটি কে প্রথমে একবাটি পানি নিয়ে সেখানে একটি দুই তিনটি লবণ মিশিয়ে দুই থেকে তিনটি শসার ভিজিয়ে বা আপনি যে পরিমাণ শসা খাবেন সেই পরিমাণ ভিজিয়ে রেখে দেন।

তাহলে শসার গায়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো মরে যাবে এবং আপনি সেটি খেলে আপনার কোন প্রকার ক্ষতি হবে না। এছাড়াও আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা শসার সঙ্গে লবণ খেতে খুব পছন্দ। শসা কে একটু করে টুকরো টুকরো করে লবণ দিয়ে খেতে বেশ ভালো। তবে অনেকেই ভাবেন হয়তো লবণের সঙ্গে শসা খেলে অনেক ক্ষতি হতে পারে।

তা কিন্তু নয় তবে আপনি যদি সসার সঙ্গে অধিক পরিমাণে লবণ খান তাহলে ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু যদি সামান্য পরিমাণে খান তাহলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

লবণ ও মরিচ দিয়ে শসা মেখে খাওয়া ভালো?

শসা সঙ্গে যদি আপনি লবণ ও মরিচ মিশিয়ে খান তাহলে শসার আরও পুষ্টিগুণ বেড়ে যাবে। এবং শসা তে যেহেতু ভিটামিন কে ক্যালসিয়াম এগুলো রয়েছে এগুলোর মাত্র বেড়ে যাবে। আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা শসার সাতবারাতের লবণ মরিচ দিয়ে মাখিয়ে থাকেন।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আমার আর্টিকেল থেকে বুঝতে পেরেছেন আপনারা কিভাবে শসা চাষ করবেন এবং শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য। আমার আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url